বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলারচরে পুরোদমে চলছে সাগর থেকে মাছ ধরে শুঁটকিকরণ কার্যক্রম। শুঁটকি বানাতে জেলেরা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে, মৌসুম শুরুর ১০ দিনে শুঁটকি থেকে ১৭ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় করেছে সুন্দরবন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচরে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫ মাসব্যাপী জেলেরা বঙ্গোপসাগরের তীরে আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শ্যালারচরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ ধরে সেখানে শুঁটকি করবেন।
এখানে উৎপাদিত উন্নত মানের শুঁটকি মাছ চট্টগ্রাম, রংপুর, সৈয়দপুর ও খুলনাসহ বিদেশে রপ্তানি হয়। মাছ শুটকিকরণের জন্য ইতোমধ্যে দুবলারচর অঞ্চলে ১০ সহস্রাধিক জেলে সমবেত হয়েছে
দুবলার আলোরকোল থেকে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজি জানান, এবারের শুঁটকি মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছে। সাগরের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে জেলেরা গত বছরের আর্থিক ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মোতাসিম ফরাজি জানিয়েছেন।
জেলেপল্লী দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, দুবলারচরের জেলেরা এখন দিনরাত সাগরে মাছ ধরে শুঁটকিকরণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুম শুরুর ১০ দিনে ১৪৯২ কুইন্টাল শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে। বনবিভাগ এ থেকে ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে। শুঁটকি মৌসুমে বনবিভাগের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১০ দিনের রাজস্ব আয় টার্গেট পুরণ হয়েছে বলে ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন