সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ১ নাং জয়নগর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে চারটি পরিবারের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জজ কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক প্রাচীন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মানিকনগর গ্রামের মৃত মোস্তার আলী শেখের পুত্র জব্বার শেখ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৫৫ বছর থেকেই এই রাস্তা থেকে যাতায়াত করে আসছি।১১৩ নাং খোর্দ্দ বাটড়া মৌজার আর,এস ২৪৬, ৪৮৯ নাম্বার খতিয়ানের ৩৩ নাম্বার দাগের ০.৫১০০ একর জমির মধ্যে শূন্য ০.২৫০ একর জমির আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি। উক্ত জমির পশ্চিম পাশে ৩০ নম্বর দাগে আমরা বসবাস করি এবং ৩৩ দাগে দক্ষিণ পশ্চিম পাশ দিয়ে ০.২৫০ একর জমির উপর দিয়ে রাস্তায় যাতায়াত করি। কিন্তু মানিকনগর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে আকতার শেখ(৪৬), জিয়ারুল শেখ(৪০), মৃত বাকের মোড়লের ছেলে নজরুল মোড়ল(৩৬), মৃত নসিম উদ্দিনের পুত্র শিমুল শেখ(৪২), এবং মৃত কোমর উদ্দিন শেখের পুত্র ফারুক শেখ জোরপূর্বক প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আদেশ অমান্য করে তারা প্রাচীনটি নির্মাণ করেছে। সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ভুক্তভোগী চারজন পরিবারের মোট ১৭ জন শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ মানবতার জীবন জাপান করছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ি থেকে বের করার মত রাস্তা নেই পরিবারটিতে। ভুক্তভোগী জব্বার শেখ সাংবাদিকদের কাছে জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি ৫৫ বছর রাস্তাটি। কিন্তু জোরপূর্বক কিছু ব্যক্তি আমাদের এই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে আমি এ বিষয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে গিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর জবরদস্তি ভাবে প্রাচীন নির্মাণ করেছেন। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি এবং রাষ্ট্রের কাছে আমার দাবি আমাকে ন্যায় বিচারের যেন পাই এবং দ্রুত আমাদের রাস্তাটি ফিরে পায় এই দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক প্রতিবেশী সাংবাদিকদের কে জানান, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা এটি। কিন্তু কিছু লোক রাস্তাটি জোরপূর্বক ভাবে প্রাচীন নির্মাণ করেছে। এ বিষয়ে আদালত একটি মামলা রয়েছে বলেও আমরা জানি। তবে মামলার বিষয়টি তোয়াক্কা না করেই জোরপূর্ব প্রাচীন নির্মাণ করেছে। এর আগে মেম্বার চেয়ারম্যান সালিশ করলেও মারেনি এই পরিবারগুলো।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।