বিদ্যালয়ের ভবন আছে, শিক্ষক আছে শুধু নেই শিক্ষার্থী। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর বিপরীত বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ছয়জন শিক্ষক। ঘটনাটি জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ১৬৩ নং পূর্ব রমজাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪-৭- ২০২৪ রবিবার সকাল ৯ টায় ৫০ মিনিটে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় তিনজন শিক্ষক বাহিরে ঘোরাফেরা করছে।
সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে দ্রুত যেয়ে লাইব্রেরীর তালা খুলে দিলো বসার জন্য তবে তথ্য সংগ্রহকারীরা লাইব্রেরীতে না বসে প্রতিটা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ছয়জন শিক্ষক থাকলেও প্রতিদিন কেউ না কেউ অনুপস্থিত থাকে, স্কুলের সহকারী এক শিক্ষকের কাছে প্রশ্ন করলে বলেন আমরা ছয় জন শিক্ষক রয়েছি একজন রয়েছে পিডিআই ট্রেনিংয়ে হেড স্যার হয়তো অফিসের কাজে শ্যামনগর গিয়েছে। আর সহকারী শিক্ষিকা শোভারানী অসুস্থ ছুটিতে রয়েছে।এদেকে সহকারী শিক্ষিকা শোভারানী স্কুলে নিয়মিত আসে না এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে শোভারানীর ছুটির বিষয়ে কিছু জানেন কিনা শ্যামনগর প্রাথমিকের সরকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ ইদ্রিস হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন ছুটির বিষয় আমি কিছু জানি না। প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ সবুর এর কাছে বরাদ্দ ও সহকারী শিক্ষকের ছুটির বিষয় জানতে এড়িয়ে যান এবং বারবার দেখা করার কথা বলেন। সহকারী শিক্ষক শোভারানীর ব্যবহৃত ফোনে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পিইডিপি-৪ এর আওতায় বিদ্যালয়ে মাইনর মেরামতের ২০০০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা বরাদ্দের কাজ ৩০/০৪/২০২৪ শেষ করে বিল ভাউচার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আদৌ কি সেই কাজ প্রধান শিক্ষক সম্পন্ন করেছে না ভূয়া বিল ভাউচার জমা দিয়েছে। সহকারি শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না এটা হেডস্যার বলতে পারবে। এসব বিষয়ে আমরা কোন খোঁজ খবর রাখি না।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এনামুল হক বলেন তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেব।