শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দীর্ঘদিনের বেদলখ কৃত জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিলেন এমপি দোলন
প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গোপালপুর ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের বেদখল কৃত জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিলেন সাতক্ষীরা -৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন। ০৭ই জুলাই রোববার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠানে এসে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দদের সাথে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দিরের জায়গার বিরোধ মিমাংসা করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। দীর্ঘদিন কয়েক বছর যাবত মন্দিরের জায়গাটি বাদঘাটা গ্রামের বাসিন্দা উক্ত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর দেলোয়ারা বেগম দখলে ছিলো। জানাযায় মন্দিরের ৭শত জমি নিয়ে মন্দির কমিটি ও দেলোয়ারা বেগমের সাথে ঝামেলা চলছিলো।
এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, তদন্ত অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত বিশ্বাস বাবুলাল, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কৃষ্ণপদ মন্ডল, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি কৃষ্ণনন্দ মুখার্জী, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোদীপ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কিরণ শংকর চ্যাটার্জি, সদস্য সচিব মহাদেব মন্ডল সহ হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে মহিলা মেম্বর দেলোয়ারা বেগমের ছেলে মারুফ হোসেন বলেন, আমাদের সাথে মন্দিরের জমি ও আমাদের ক্রয়কৃত জমির দাগ নিয়ে বিরোধ চলছিলো। আজ এমপি মহোদয় মন্দিরের জায়গার একটা সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছে। এবং তিনি বলেছেন কয়েকদিন পরে আমাদের ও মন্দির কমিটিকে নিয়ে দলিলের দাগ খতিয়ান দেখে আমাদের ও মন্দির কমিটির জায়গা ভাগ করে দেবেন।