সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও ভর্তির অর্থ জোগাড় করতে না পেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রহর গুনছে ফারহানা নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামে। হতদরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান পেশায় একজন দিনমজুর। সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছুই নাই। ৫ জনের সংসারে অনেক কষ্টে ধার দেনা করেই চলছে তাদের পরিবার। পরিবারের বড় সন্তান ফারহানা নিগার সুমি তেতুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে বিজ্ঞান শাখায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং খুলনা পাইনিয়ার মহিলা কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান শাখায় এ+ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরিবারের ছোট পুত্র ২০২৪ সালের এসএসসি পরিক্ষায় কৃত্বিতের সাথে পাশ করেন।
বড় সন্তান ফারহানা নিগার সুমিকে মানুষের মতো মানুষ করার জন্য তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে এ পযন্ত এসেছে। ফারহানা জানায়, এ পর্যন্ত পড়াশুনা করতে গিয়ে ১দিনের জন্যেও সে প্রাইভেট পড়তে পারেনি। শুধু স্কুল ও কলেজের শ্রেনী কক্ষের পাঠদানের উপর নির্ভর করে এ পর্যন্ত এসেছে সে। ডাক্তার হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিলে মেধার সাথে উর্ত্তীন হয়ে বরিশাল সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়।
চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে অনলাইনে সর্বমোট ১৪০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থী ৪৪১জন ও দেশি শিক্ষার্থী ৯৬৩ জন। এরমধ্যে হতদরিদ্র অসহায় ও মেধাবী কোটায় মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চান গরিব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী ফারহানা।
০৮/০৭/২৪ তারিখে তার কলেজের ভর্তি হাওয়ায় মেয়াদ শেষ। কিন্তু তার ভর্তির জন্য টাকা জোগাড় করতে না পারায় ফারহানা ও তার বাবা মিজানুর রহমানের উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। ধূলিসাৎ হতে চলেছে ফারহানার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। ভর্তির টাকা জোগাড় করতে তার বাবা হন্য হয়ে ছোটাছুটি করছে সমাজে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে। জোগাড় করতে পারছেনা ভর্তির এ মোটা অংকের টাকা। শেষ পর্যন্ত টাকার যোগান না পেলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে ফারহানার মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন। তাই ফারহানা ও তার বাবা মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং বৃত্তশালী মানুষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন। (মিজানুর- ০১৭১৬৬৯৯৫৯৫)। মেধাবী শিক্ষার্থী ফারহানা ও তার পিতা মিজানুর রহমান স্বপ্ন পূরণের আলোর পথ দেখাতে আপনাদের দেয়া আর্থিক সাহায্যই হতে পারে একমাত্র অবলম্বন।