সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শৈলখালী মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখায় নেই কোন শিক্ষার্থী অথচ নিয়মিত বেতন ভাতা নিচ্ছে এবতেদায়ী শাখার শিক্ষকরা।
শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে শৈলখালী মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ও এবতেদায়ী শাখা
নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও কোন শিক্ষার্থী , এবতেদায়ী শাখায় ভর্তি হয়নি।মাদ্রাসার পাশে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় শৈলখালী মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখায় কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় না বলে জানান মাদ্রাসার সুপার। প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণিতে কাগজে-কলমে ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকার দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে একজন শিক্ষার্থীও নেই বলে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন দীর্ঘ দিন ধরে ক্লাস না করিয়ে নাম মাত্র একটি ঘর দেখিয়ে সরকারি বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার দুই জন শিক্ষক।
শৈলখালী মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ইবতোদায়ী শাখার শিক্ষক আব্দুল জলিল এর কাছে ইবতেদায়ী শাখার বর্তমান কতজন ছাত্র ছাত্রী আছে জানতে চাইলে সব বিষয়ে এড়িয়ে যান,এবং মাদ্রাসার সুপারের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে কোন তথ্য দিতে মানা করেন। সংবাদ কর্মীকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাড়া আমরা কোন বক্তব্য দিতে পারবো না এবং কোন তথ্য দিবো না বলে জানিয়ে দেন ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষক আব্দুল জলিল
মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আব্দুল মাজেদ বলেন সবই তো বোঝেন পাশে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে সেখানে ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তি পায় যেহেতু আমাদের এখানে কোন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম এজন্য ছাত্রছাত্রী একটু কম থাকলেও কাগজ-কলমে আমাদের দেখাতে হয়।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শৈলখালী মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি জি এম সাহাজান সিরাজ বলেন ইবতেদায়ী সেকশনে এক দুইজন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। তবে দেখা যায় তাও অন্য কোথাও ফুলকড়ি কিন্ডার গার্ডেনে ভর্তি রয়েছে নাম মাত্র ইবতেদায়ী সেকশন শুধু বেতন ভাতা নিয়ে ব্যস্ত আছে দুই শিক্ষক আব্দুল জলিল ও তামান্না বিলকিস
শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ (তেজারত) এর ব্যবহৃত ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।