শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রেমালে কাকড়া ব্যবসায়ী রশিদ নিঃস্ব সহযোগিতা চায় এনজিওদের
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া চার ফুটের উদ্বে পানি বৃদ্ধি হওয়ার বেড়ীবাঁধের বাহিরে কাকড়ার পয়েন্টের বেড়ীবাঁধ ভেঙে প্রায় দুই লক্ষ টাকার কাকড়া নদীতে চলে যায়। বলছি কালিঞ্চী কলোনীপাড়া বেড়ীবাঁধের বাহিরে পরিবার নিয়ে বসাবাস কারী আব্দুর রশিদের কথা দীর্ঘ দিন ধরে কাকড়ার ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিলো হঠাৎ করে আসলো এক কাল বৈশাখী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। নিয়ে গেল এই ক্ষুদ্র কাকড়া ব্যবসায়ী সব স্বপ্ন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কয়েক দিন আগে জেলে বাওয়ালীদের কাছ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার কাকড়া ক্রয় করে বেড়ীবাঁধের বাহিরে আরেটি বাঁধ নির্মাণ করে পয়েন্টে কাকড়া ছেড়ে দেন। কিছুদিন রেখে কাঁকড়া বিক্রি করলে ভালই লাভ অংশ পেত সেখান থেকে, এবং অভিজ্ঞতা আব্দুর রশিদের ভালোই ছিলো কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস আসলো ঘূর্ণিঝড় রেমাল নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হতে থাকলো নদীতে স্বাভাবিক ছাড়া প্রায় চার ফুটের উদ্ধে পানি বৃদ্ধি দেখা গেছে পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বেড়ীবাঁধ ভেঙে পয়েন্টে পানি প্রবেশ করতে থাকে শত চেষ্টা করেও পানি বন্ধ করা সম্ভব হলো না। ভেঙ্গে গেল তার সবই স্বপ্ন, হয়ে গেল ক্ষুদ্র কাকরা ব্যবসায়ী একেবারেই নিঃস্ব তার একমাত্র জীবিকার উৎস এই কাঁকড়া ব্যবসা এখন যে কি করবে এই নিরুপায় হয়ে পড়েছে এই কাঁকড়া ব্যবসায়ী ধার দেনা করে ব্যবসা করেছিলো আব্দুর রশিদ এদিকে জেলেদের কাছ থেকে কাঁকড়া বাকি নিয়ে তার নিজের পয়েন্টে ছেড়েছিলো কিছু লাভের আশায় কিন্তু স্বপ্ন তো স্বপ্নই থেকে গেল বাস্তবে তো কিছুই হলো না। এখন যে অসহায় জেলে বাওয়ালিদের টাকা কোথা থেকে দেবে এমনটাই চিন্তা করছে আব্দুর রশিদ। তবে এই ক্ষুদ্র কাঁকড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে বলেন বিভিন্ন এনজিও এই কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করে। যদি আমাকেও একটু সার্বিক সহযোগিতা করতো তাহলে ব্যবসাটা আরেকটু বড় করতে সক্ষম হতাম।
শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটা লিস্ট পাঠিয়েছি এখন কি করবে এটা এখনো জানায়নি আমাদের জানালে অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।