সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পথ পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা’র নকিপুর গ্রামের মৃত ছকিমুদ্দীন গাজী’র পুত্র মোঃ মোকছেদ আলী গাজী। তার বিরুদ্ধে ভূরুলিয়া ইউনিয়নের শারমিন সুলতানা নামে এক অসহায় নারী, ১০৮, সাতক্ষীরা-০৪, শ্যামনগর (কালিগঞ্জ আংশিক) জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন পাওনা টাকা ফেরত পাইবার জন্য। অভিযোগ এর তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলার বিভিন্ন অফিসে ভিজিটিং কার্ড দেখতে পাওয়া যায়। যে ভিজিটিং কার্ডে বাংলাদেশ সরকারের উপজেলা পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি, উপজেলা কৃষি খাসজমি বন্দ-ব্যবস্থা ও বাস্তবায়ন কমিটি, সদস্য। হিসাবে কার্ড তৈরি করছে যা ব্যবহারের কারনে প্রতারিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকার বিভিন্ন সহজ সরল মানুষের ভোগ দখলিয় রেকোডিও ও খাস জমি দখল, করার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভূমি দখল করা তাঁর পরিবারের একটি নেশা, তাঁর ছেলে রহমত আলী’র বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জামাই সাবের মিস্তিরি বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদা বাজির অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে তার জামাই সাবের মিস্তি ও মেয়ে মসলিমা খাতুন হাফেজ মো: তাহালা দের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করছে। যা নিজ খরজে ভেঙে নেয়ার জন্য রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর সাতক্ষীরা, শাহানেওয়াজ তানভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নিজ খরজে ভেঙে নেওয়ার কথা বলেছেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয় জেলা ও উপজেলা মিলে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ ব্যাবহার করেছেন এই ভিজিটিং কার্ডে।
সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থা, প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। সভাপতি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন- সাতক্ষীরা জেলা। সাংগঠনিক সম্পাদক, মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। সদস্য, উপজেলা কৃষি খাসজমি বন্দ-ব্যবস্থা ও বাস্তবায়ন কমিটি শ্যামনগর উপজেলা।
সভাপতি, বাস্তহারা ভূমিহীন সমাজ কল্যাণ সংস্থা।
ভূমিহীন সমাজ কল্যাণ সংস্থা। ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সাতক্ষীরা জেলা শাখা। ঠিকানা নকিপুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। তার ভিজিটিং কার্ডে ব্যবহৃত ঠিকানায় যেয়ে কোন অফিসের দেখা মেলেনি।
নকিপুর গ্রামের ইয়াছিন বলেন,মোকছেদ আলী ও তার জামাই সাবের মিস্তি ছেলে রহমত আলীদের মূল কাজ হচ্ছে এলাকার অসহায় পরিবারদের টার্গেট করে তাদের জমি জায়গা দখল করে নেওয়া এবং ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। আপনি যে কার্ড দেখাচ্ছেন এই ধরনের কোন অফিস এই এলাকায় দেখা যায় না।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে ভিজিটিং কার্ডে দেখালে অফিসের এক কমকর্তা জানান, আমাদের অফিসে এই সকল সংগঠনের কোন অস্তিত্ব নেই।
সমবায় অফিস থেকে জানিয়েছেন আমাদের কাছে ফাউন্ডেশন বা সংস্থার অনুমোদন দেয় না সমবায় সমিতির অনুমোদন দিয়েথাকি।
মোকছেদ আলী গাজী কাছে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, করোনা কালীন সময়ের পরথেকে আমার সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম নেই। শ্যামনগর সদরে যমুনা খাল কাটার সময় আমার অফিসটি ভেঙে দিয়েছে যার কারণে আমার কোন অফিস নেই, বলে ফোন কেটে দেয়।
এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আর কাউকে যেন প্রতারিত না হতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ থাকায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।