কলীগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খায়রুল আলম (৪১) মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ৩ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে বলে ভুক্তভোগী দাবি করেছেন। তবে এ ঘটনায় (৭ মার্চ ২০২৪) বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন খায়রুল আলম থানার অভিযোগ সূত্রে ও অভিযোগ কারির বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়। একই উপজেলার বন্দীপুর গ্রামের আলাউদ্দিন আলীর পুত্র সেলিম হোসেন (৩২) ও ঘেরের পার্শ্ববর্তী বাড়ি সেলিম হোসেনের বোন শিবপুর গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৬) সাথে একটা ঘেরের ডিট নিয়ে পূর্বের শত্রুতা ছিলো সেই শত্রুতার জের ধরে আমার মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেন। অত্র থানাধীন তেলিখালী মৌজায় আমার খরিকৃত সাড়ে দশ বিঘা ও জনৈক শাহাদাৎ হোসেন এর নিকট হইতে ডিটকৃত পাঁচ বিঘা সম্পত্তি অর্থাৎ সর্বমোট সাড়ে পনের বিঘা সম্পত্তিতে মৎস্য চাষাবাদ করিয়া আসছি। ইতিপূর্বে উক্ত পাঁচ বিঘা সম্পত্তি ১নং বিবাদী সেলিম হোসেন হারিতে চাষাবাদ করে আসছেন। সম্পত্তির মালিকের সহিত ১নং বিবাদী সেলিম হোসের সাথে ঝামেলা হওয়ায় জমি মালিক ১নং বিবাদীর নিকট হইতে সম্পত্তি ফিরিয়ে নিয়া আমাকে ডিটের মাধ্যমে সম্পত্তি প্রদান করেন। সেই হইতে বিবাদীরা আমার সহিত বিরোধ পোষণ করিয়া আমার মৎস্য ঘেরের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করিবে বলিয়া পাঁয়তারা করিয়া আসিতেছে। ইং-০৩/০৩/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকা হইতে আমি আমার মৎস্য ঘের দেখাশুনা করিয়া বাড়ীতে চলিয়া আসি। পরদিন ইং-০৪/০৩/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় আমি আমার মৎস্য ঘেরে যাইয়া দেখতে পাই, আমার মৎস্য ঘেরে থাকা বাগদা, হরিণা, ভাঙ্গান, প্যাশশে সহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ মরিয়া পানির উপরে ভাসিতেছে এবং আশপাশ হইতে বিষের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমার সম্পূর্ণরূপে সন্দেহ হয়, বিবাদীরা পূর্বের শত্রুতা জের ধরে আমার মৎস্য ঘেরের তিন লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছেন
এবিষয়ে পার্শ্ববর্তী ঘরের মালিক তপন মন্ডল ও হোসেন আলী বলেন সেলিম হোসেন অন্য লোকের জমি ডিট নিয়ে আমাদের পাশেই ঘের করতো কিন্তু জমির মালিকের সাথে বিরোধ হওয়ায় মৎস্য ঘেরটা সেলিম হোসের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে খায়রুল আলমের কাছে ডিট প্রদান করেছেন জমির মালিক। এই শত্রুতার জের ধরে এবং সেলিম হোসেনের বোন রুবিনা খাতুন এর মৎস্য ঘের পাশে থাকায় বিষ প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়েছে।এবিষয়ে বিবাদী সেলিম হোসের ব্যবহৃত ফোনে বারবার রিং দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।