জীবনযুদ্ধে পরাজিত পঙ্গু হাবিবুল্লাহ বাহার।
হাবিবুল্লাহ বাহার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের পুত্র। নিম্ন বিত্ত পরিবারের সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার।
২০০৭ সালে শ্রীবরদী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। শেরপুরের ভাত শালা যুব উন্নয়ন থেকে ভেটেরিনারি এবং শ্রীবরদী থেকে লোকাল মেডিসিন ফাংশন প্রেক্টিশনাল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিষ্ণুপুর বাজারে গড়ে তোলেন “বাহার মেডিকেল হল”। সেখানে তিনি প্রায় ১ যুগ পর্যন্ত তার নিজ গ্রাম বিষ্ণুপুর বাজারে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে এলাকাবাসীর সেবা করতেন তিনি। ২০১৮ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার
স্বীকার হন হাবিবুল্লাহ বাহার । অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলে দিতে হয় তার ডান পায়ের উরু পর্যন্ত। এতে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে সহায় সম্বল বলতে যতটুকু ছিলো ফুরিয়ে যায়। সংসারে তার মা, স্ত্রী ও চার সন্তান ৭ সদস্যের পরিবার হাবিবুল্লাহর। পরিবারের এক মাত্র উপার্জন ক্ষম হাবিবুল্লাহ পঙ্গু হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পরে পরিবারটি। নিরুপায় হয়ে পরিবারের সদস্যদের ভরনপোষন যোগাতে হাবিবুল্লাহ বাহার বেছে নেয় ভিক্ষাবৃত্তি।
জানা যায়, ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় , তাই দিয়ে কোনরকমে খেয়ে -না খেয়ে, অনাহারে অর্ধাহারে মানবতার জীবনযাপন করে আসছেন হাবিবুল্লাহ বাহারের পরিবার। নেই তার পরিবারের সদস্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁই।
উপজেলার পশ্চিম ধানশাইল চার রাস্তার মোড়ে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছেন হাবিবুল্লাহ বাহার।
দুমুঠো ভাতের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছেনা তার কোনও প্রতিকার। অভাব অনটনের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাবিবুল্লাহ বাহার ।
বেচে থাকার তাগিদে সমাজের বৃত্তবানসহ সকলের কাছে সহযোগিতার হাত বারাচ্ছেন তিনি।
বর্তমানে আর্থিক সহায়তা চেয়ে হাবিবুল্লাহ বাহার ঘুরছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের দ্বারে দ্বারে। তবুও তার কোথাও মিলছে না কোন আর্থিক সহায়তা। হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, কোন সু-হৃদয় বান ব্যক্তি তাকে একটি ইজিবাইক কিনে দিয়ে সহায়তা করলে তিনি ও তার পরিবার চির কৃতজ্ঞ থাকবেন।
একটি ইজিবাইকে হলে তা চালিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম হবে বলে জানান তিনি। হাবিবুল্লাহ বাহারকে কেউ আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে নিম্নোক্ত তার বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারেন:-বিকাশ নাম্বার।০১৩২২-৩০০৭৯৮