দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। চলতি বছরের মার্চেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে এমন আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসের শেষ দিকে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা হতে পারে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা নানা ভাবে প্রচারনায় রয়েছেন। ফলে নতুন করে বইছে নির্বাচনী আমেজ। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় নৌকার মাঝি হতে ইতোমধ্যেই একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের নাম জোড়ালো ভাবেই মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে। সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে উপজেলার সর্বত্রই চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। দলের কাছে পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির আদর্শ হিসেবে পরিচিত শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের যেমন সাংগঠনিক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তেমনি তিনি পরোপকারী, দরদি ও দক্ষ সংগঠক হিসেবেও বেশ পরিচিত। নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা। একারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনকে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় ভোটাররা। জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বসন্তপুর নদী বন্দর বিষয়ক কমিটির আহবায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, আমি বিগত দিন থেকে সাতক্ষীরার মানুষের পাশে ছিলাম, আগামীতেও মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচন করতে চাই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি বিশ্বাস করি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। তিনি আরো বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বসন্তপুর নদী বন্দর বিষয়ক কমিটির আহবায়ক। পেশায় একজন ট্রাভেল এজেন্ট, সি.এন্ড.এফ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে আমি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আসন্ন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনারা আমার পাশে থাকবেন, আমি সামনের দিকে অবশ্যই এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দক্ষ সংগঠক, রাজপথের সক্রিয় কর্মী, আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৬ সালে পিতা শেখ রওশন আহমেদ হাত ধরে শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তৎকালীন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মরহুম মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর মাধ্যমে। এরপর ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ শাখার সহ-সভাপতি। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। ১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৯৪-৯৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি। ২০০০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। ৮০ ও ৯০ দশকের সাবেক এই ছাত্রনেতা হাসিমুখ-সেঞ্চুরি-সাতক্ষীরার মাধ্যমে (২০০০ সালে বন্যা, ২০২০ সালে করোনা মহামারী, বিগত বছরগুলোতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের, বিভিন্ন সংগঠন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্যাপক বৃক্ষরোপন ও বিতরণ কর্মসূচী বাস্তবায়ন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য (নারী উন্নয়ন সোসাইটি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খেলোয়ারদের মাঝে, সেলুন মালিক সমিতি, পরিবহন কাউন্টার, পত্রিকা অফিস, মসজিদের মুসল্লি, ইউনিয়ন পরিষদ, অসংখ্য পথচারিদের মধ্যে, সরকারি অফিসগুলোতে, নামাজের পর মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে।) সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রীর জন্মস্থান গোপালঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও স্টাফদের ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গাছের চারা রোপনের জন্য বিতরণ করা হয়।