শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীতে প্রতিবন্ধীর ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে ৷ আদালতের ১৪৫ ধারায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা মামলা থাকার পরও ঘর থেকে ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে বের করে দিলো প্রতিবন্ধীকে ৷
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে যে, উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের দুরমুজখালী গ্রামের মোলামদী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলামের কাছ থেকে একুই ইউনিয়নের মেন্দীনগর গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী গাজীর ছেলে প্রতিবন্ধী ইমাম আলী
গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাব-রেজিস্ট্রির মাধ্যমে
১ একর ৮০ শতক জমির ৬ দাগের মধ্যে ১৪ শত ভিটা ও ঘর ক্রয় করে দখল স্বত্ব বুঝে নেন ৷
মালিকের সাথে পূর্বে জায়গা জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে একুই এলাকার মেন্দিনগর গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর হুমকি দেয় ৷
হুমকির প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে
প্রতিবন্ধী ইমাম আলী সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন ৷ মামলা নং-২০৬৯ ৷ যা শ্যামনগর থানা-পুলিশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার কাগজ প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত ৷
সাময়িক নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারি করে থানা-পুলিশের এএসআই মনির হোসেন ৷ কিন্তু আদালত ও থানা-পুলিশের সাময়িক নিষেধাজ্ঞকে অমান্য করে ১৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ দুপুরে প্রতিবন্ধী ইমাম আলীর বাড়িতে হামলা করে ৷
দুপুর অনুমান ২ টার দিকে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে কৈখালী ইউনিয়নের মেন্দিনগর গ্রামের মনিরউদ্দীন গাজীর ছেলে মুনসুর আলী গাজী, মোরশেদ গাজীর ছেলে সোহরাব গাজী, জাহাঙ্গীর গাজীর স্ত্রী তাসলিমা খাতুন, সোহরাব গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মৃত মোহাম্মদ সরদারের ছেলে রহিম সরদার, কাদের সরদার, রহিম সরদারের ছেলে শফিকুল সরদার, করিম সরদারের ছেলে রফিকুল, নিদয়া গ্রামের মৃত শুকচাঁদ গাজীর ছেলে খলিল, গোনা গ্রামের মন্তেজ গাজীর ছেলে আলতাফ গাজী,
আলতাফ হোসেনের স্ত্রী শরিফা খাতুন, মৃত হযরত চৌকিদারের ছেলে নজরুল হামলা চালিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় প্রতিবন্ধী ইমাম আলী ও তার স্ত্রীকে ৷ পরে ঘরে প্রবেশ করে শরিফা খাতুন, তাসলিমা (১), তাসলিমা (২) ভিতর থেকে তালাবদ্ধ করে থাকেন ৷
থানা-পুলিশের হস্তক্ষেপে কৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম দখলকারীর লোক ঘরে থাকা শরিফা খাতুন, তাসলিমা (১), তাসলিমা (২)কে বের করে দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে তালা ঝুলিয়ে দেন ঐ ঘরে ৷ কিন্তু প্রতিবন্ধীও তার ঘর বুঝে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ৷ অন্যের বাড়িতে রাত যাপন করছে প্রতিবন্ধী ইমাম আলী ৷
ইমাম আলী বলেন, টাকা দিয়ে ঝামেলা কিনে অন্যের বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে ৷ আমার প্রাপ্প বুঝিয়ে দিলে বাঁচতাম ৷
জাহাঙ্গীরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে রাজি হোননি
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পরে আমি কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখলাম ইমাম আলীর মালিকের জমি আগেই বিক্রি করেছেন ৷ পরে ইমাম আলী শেষ কোবলাদার হওয়ায় তার কোন শর্ত পাওয়া যায়নি ৷ উভয় পক্ষ দখল করা নিয়ে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখে আমি ঘরে তালা দিয়ে চাবি সংরক্ষণ করেছি ৷ পরবর্তীতে উভয় পক্ষ বসাবসির মাধ্যমে কাগজ যার জমি তার এই নিয়মে সমাধান করা হবে ৷
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, উভয় পক্ষ অভিযোগ নিয়ে আসছিলো ৷ আমি মামলা না নিয়ে বিষয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের মাধ্যমে সালিশে মিমাংসার জন্য বলে দিয়েছি ৷ তিনি বসাবসির মাধ্যমে মিমাংসা করে দিবেন ৷