গভীর রাতে মাছ চুরি করে ধরা খেয়ে গণধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। পরে পুলিশ যেয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ভোর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক পাঁচজন চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। তারা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মোস্তাকিন হোসেন, মিজানুর রহমান, হুসাইন বাবু ও শাহারুল ইসলাম।
স্থানীয় ঘের মালিক শরিফুল জানান, সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙ্গা দক্ষিণ বিলে তাদের পাঁচ বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। রোববার ভোররাতে আটক পাঁচজন জাল দিয়ে তাদের ঘের থেকে মাছ ধরতে শুরু করে। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী ঘেরের দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ নামে একজন দেখতে পেয়ে মোবাইল ফোনে জানায়। তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা গিয়ে তাদের ধরার চেষ্টা করলে তারা আমাদের ধাক্কা দিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ঘরের বারান্দায় উঠে। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তারা। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জেহাদ ফখরুল আলম খান জানান, আটকদের মধ্যে যে কেউ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চেয়ে জানায়, তারা খুব বিপদে রয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে হবে। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, তারা ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে স্থানীয়দের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে ফোন করেছে।
তিনি আরও বলেন, যার ঘেরে তারা মাছ চুরি করতে গিয়েছিল, তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।