সাতক্ষীরার উপকুলীয় শ্যামনগর উপজেলায় বৈশিক জলবায় কর্মসপ্তাহ ২০২৩ এর ৯ দিনের চিৎকার কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বিগত দিনের দুর্যোগ সম্পর্কে জানি, সচেতন হই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাস্ট্রসমুহকে ক্ষতিপুরনে বাধ্য করতে সোচ্চার করি বিষয়ক স্কুল পর্যায়ে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক’র সহযোগিতায় এবং কোস্টাল ইয়থ নেটওয়ার্ক, উপকুলীয় শিক্ষা ও বৈচিত্র্য সুরক্ষা উন্নয়ন সংস্থা সিডিও এবং সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের যৌথ আয়োজনে কাশিমাড়ি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে উক্ত ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, উন্নয়ন কর্মী, স্থানীয় যুবরা অংশগ্রহন করেন। স্কুল শিক্ষার্থীরা দুর্যোগের নামসমুহ প্লাকাডে লিখে উপস্থাপন করেন।
কর্মসূচিতে যুবরা ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে অদ্যবাদি পর্যন্ত যত রকমের বড় বড় ঘূর্নিঝড় উপকুলে আঘাত হানে তা তুলে ধরেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ১৯৮৮ সালের ঝড়, ২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের আইলা, ২০১৩ সালের মহাসেন, ২০১৫ কোমেন,২০১৬ রোযানু, ২০১৭ মোরা, ২০১৯ ফণী ও বুলবুল, ২০২০ আম্ফান ও কোভিড-১৯, ২০২১ জাওয়াদ, ২০২২ সিত্রাং।
তারা বলেন যে, ‘এসকল দুর্যোগ আমাদের সহায় সম্বল বারবার কেড়ে নিচ্ছে। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। বছরের বার বার ঘুরে ফিরে এরকম নানান দুর্যোগ হচ্ছে। আর এ দুর্যোগের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনদিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এলাকাতে দেখা দিচ্ছে নানান অভাব। জলবায়ু পরিবর্তন এর জন্য দায়ী।’
যুবরা আরো বলেন যে, ‘আজ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেমন গোটা বিশ্ব হুমকির মুখে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে। আর বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয় বিপদাপন্ন হলো আমাদের এই উপকুল। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমাদের ভূমিকা খুবই নগন্য হলেও চরম বিপর্যয়ের মধ্যে আমাদের থাকতে হয়। আমরা জলবায়ু সুবিচার চাই। জলবাযু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাস্ট্রসমুহকে ক্ষতিতপুরণে বাধ্য করতে সোচ্চার হতে হবে। একই সাথে বিশ্ব সংকট মোকাবেলায় তরুনদের জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, বারসিকের বরসা, সিডিু ইয়থ টিমের হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান মিলন, সিওয়াইএন এর সপাতি রাইসুল ইসলাম, এসএসএসটির সাইদুল ইসলাম আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেঝের শিক্ষক সহ প্রমুখ।