শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের অবস্থিত ২১ নম্বর সোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে প্রাচীন নির্মাণ সহ অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি সহ সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দু
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে অত্র বিদ্যালয়ে গত ইংরেজি ০৮-০৩-২০১৫ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মজিবুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে স্কুলের বিভিন্ন বরাদ্দ আসলে স্কুলের সৌন্দর্যের কাজ না করে নিজে আত্মসাৎ করে ফেলে
এবং প্রধান শিক্ষক নিজের খামখেয়ালী বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যালয়ের অবকাঠামও উন্নয়নের বংশ হিসেবে যে সমস্ত সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয় তাহা যথাযথভাবে ব্যয় না করে জানতেন ভাবে বিল ভাউচার দেখিয়ে ব্যক্তির সাথে আত্মসাৎ করিয়া আসিতেছে। বিদ্যালয় এর পক্ষে জেলা প্রশাসক এর নামীয় ১.০০সম্পত্তি ছিল কিন্তু প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবৈধ পন্থায় সরকারি সম্পদ তছরুপ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয়দের কাছ থেকে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করিয়া ৫০ শতক জমি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেদখল করিয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের নামীয় সম্পত্তি জেলা প্রশাসক এর থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান রেজুলেশনে ভূমি দাতার নাম উল্লেখ রাখিয়া অবৈধভাবে বহাল রেখেছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র মেরামতে ২ লক্ষ টাকা সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ প্রদান করা হইলে প্রধান শিক্ষক ০ ৫০ শতক জমি বেদখল করিয়া আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রাচীর নির্মাণ করিয়া বেদখল করার জন্য প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করিয়াছে তাছাড়া বাকি টাকার কাজ না করিয়া ব্যক্তি স্বার্থে আত্মসাৎ করিয়াছে। ২২, ২৩ অর্থবছরের ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দ সরকারিভাবে ২ লক্ষ টাকা স্লিপিং বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা রুটিন মেনটেস ৪০ হাজার টাকা দাতা সংস্থার বরাদ্দকৃত ৩০,০০০ হাজার টাকা সর্বমোট তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা যথাযথভাবে ব্যয় না করিয়া ভুয়া ভাউচার ভাইয়া নিজে আত্মসাৎ করিয়াছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাছে ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি
এ বিষয়ে শ্যামনগর প্রাথমিকের এ টিও এবং ক্লাসটারের দায়িত্ব থাকা ইদ্রিস হোসেন বলেন এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে যদি সত্যতা মেলে অবশ্যই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব
এ বিষয়ে ২১নং সোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েই আমি অভিযোগ করেছি স্কুলের বিভিন্ন বরাদ্দ স্কুলের কোন কাজ না করে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে টাকা উঠায়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছে।
এবিষয়ে ২১ নং সোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন আমি বরাদ্দকৃত টাকা যথাযথ ভাবে স্কুলের কাজ করেছি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা