শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নে তারানীপুর গ্রামে ভেটখালী বাজার সংলগ্ন অবস্থিত রমজাননগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মাদক সেবনকারী ও পশু পাখিরদের আশ্রয় স্থান কেন্দ্রটিতে এখন আর দেওয়া হয় না স্বাস্থ্য সেবা। অস্থায়ী ভাবে রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদে একটি রুমে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি অবস্থান করলেও প্রায় সময় তা বন্ধ থাকে। দেখা মেলেনা কর্মরত কর্মীদের তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে রমজাননগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্থায়ীভাবে কোন অফিসার নেই। সপ্তাহে দুই দিন অতিরিক্ত হিসাবে একজন দায়িত্ব পালন করলেও আসে না ঠিকমত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের তথ্য মতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ও জেলার সিভিল সার্জেনের অধীনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিচালিত হয় এখানে শিশুসহ সকল জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার ও রোগ আক্রান্তের হার কমানো গর্ভাবস্থা এবং প্রসব জনিত কারণে মাতৃ স্বাস্থ্যর ক্ষতি রোধের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা অথচ এখানকার বাস্তব চিত্র ভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ইউনিয়ন পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেশি বসবাস করে। এসব জগোষ্ঠির মধ্যে মা নবজাতক শিশু মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। তাই জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং সেবা কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা দেওয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় রমজাননগর ইউনিয়নের ৩৩ হাজার ১২৫ জন মানুষ সরকারি এই সেবা থেকে বঞ্চিত। অধিকাংশ মানুষ বনজীবি ও শ্রমিকের কাজ করে। যে কোন রোগে ছুটে যেতে হয় শ্যামনগর হাসপাতালসহ প্রাইভেট ক্লিনিকে। যা তাদের জন্য অনেক কষ্টের হয়ে দাড়ায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।স্থানীয়রা আরো জানান প্রতিদিন বিকাল হতে গভীর রাত এলাকার উঠতি বয়সি যুবকেরা পরিবার কল্যান কেন্দ্রটির ভিতরে মাদক সেবন করে।এছাড়া রাতে চলে নানান রকমের আপতিকর ঘটনাও ঘটে। বিগত কয়েকদিন আগে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে বাইরের প্রাচীন ও গেট তৈরী করে রংচং করলেও ভেতরের বিল্ডিংটা যেন সদরঘাট, যেমন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করার জন্য ইতিপূর্বে নতুন ভাবে কেন্দ্রটির চারিদিকের প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে ভেঙে পড়েছে সেই প্রাচীর।
এবিষয়ে রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পরিচালনা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে একটি রুম প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু প্রায় সময় কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। নিয়মিত স্ব অফিসার না থাকায় প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা
অফিসার শাকির হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহৃত ফোনে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করিনি।
ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিশর্দক (এফপি আই) মনি শংকার বলেন একজন ডাক্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব আছে ওখানে সপ্তাহে দুইদিন ইউনিয়ন পরিষদের রোগীদের সেবা প্রদান করেন