শ্যামনগর উপজেলায় নূরনগর বাজারে পেরিফেরী আওতা ভুক্ত পাঁকা দোকান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিগত কয়েক দিন আগে বাজারটি পেরিফেরীর আওতায় এসেছে। এবং
ভূমি অফিস থেকে প্রতিটা দোকান মালিকদের বন্দো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে বলে।আবেদনের অঙ্গীকারনামায় স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। বন্দো ব্যবস্থাকৃত দোকান ঘর দখল সরকার ব্যতীত অন্য কাহারো নিকট হস্তান্তর করা যাবে না। কোন কারণ বসত: যদি দোকানের দখল কাহারো নিকট হস্তান্তর করেন তাহলে পূণঃ ইজারা (সাব লীজ) / ভাড়া প্রদান করেন তবে লীজ আদেশ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। এমন ভাবে অঙ্গীকারনামা ভূমি অফিসে নেওয়ার পরেও পেরিফেরী আওতা ভুক্ত দোকান হস্তান্তর করলেন নুরনগর গ্রামের কালিপদ অধিকারীর পুত্র রবীন্দ্র অধিকারী মোটা টাকায় বিনিময়ে তার দোকান ঘরটি হস্তান্তর করেন। মৃত মোহাম্মদ শেখের পুত্র কুয়েত প্রবাসী মাসুদ রেজার কাছে। তবে এই হস্তান্তর বিষয়ে ভূমি অফিস জেনেও না জানার ভান করছে। এমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে নুরনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন পেরিফেরীর আওতায় এই দোকানটি ভূমি অফিসের কাছা কাছি তাহলে কি ভূমি অফিস ঘুমায় ছিলো,না জেগে ঘুমাচ্ছিল এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
নূরনগর বাজার কমিটির সেক্রেটারি কাশিনাথ দেবনাথ বলেন নূরনগর বাজারের কিছু অংশ জায়গার দোকান পেরিফেরীর আওতায় পড়েছে রবীন্দ্র অধিকারী দোকান পেরিফেরীর আওতায় পড়েছে কি, না বা হস্তান্তর বিষয় জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন দোকানটি বিক্রি করেছে কিন্তু কত টাকায় বিক্রি করেছে এটা আমি বলতে পারব না।
দোকান মালিক রবীন্দ্র অধিকারী কাছে দোকানটি বিক্রির বিষয় জানতে চাইলে বলেন আমি এক সপ্তাহ আগে দোকানটি বিক্রি করেছি এবং কত টাকায় বিক্রি করেছে জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন।
নূরনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম এর কাছে পেরিফেরীর আওতায় দোকান বিক্রির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন দোকান বিক্রি হয়েছে আপনার কাছে কি ডকুমেন্ট আছে দেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান খান বলেন আমি দ্রুত ব্যবস্থা নেব।