রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বিশ্ব সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দীর্ঘ এক বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। বক্তৃতায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টাও করেন পুতিন। তবে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রুশ এই প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ রাশিয়াকে কার্যত আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিত্রদের মস্কো থেকে সরে যেতে বাধ্য করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল করছে বলে অভিযোগ করেন পুতিন। অবশ্য প্রয়োজনে ইউক্রেনে পরমাণু হামলার হুমকি আগেই দিয়েছে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলো ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক সেই হুমকির নিন্দা করেছে।
মস্কো-ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা সংস্থা ভালদাই ফোরামে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে পুতিন বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সক্রিয়ভাবে কিছু বলিনি। আমরা শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের মন্তব্যের ইঙ্গিতের বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।’
পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, তারা বিপজ্জনক, রক্তাক্ত, নোংরা খেলা খেলছে। বিশ্বের বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টির জন্য পশ্চিমাদেরকে দোষারোপ করে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমের ‘একক আধিপত্য’ এখন শেষ হয়ে আসছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে আছি। সামনে সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক, অপ্রত্যাশিত এবং একই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দশক অপেক্ষা করছে।’
তিনি বলেন, বৈশ্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় পশ্চিমারা আর দায়িত্বে থাকতে সক্ষম নয় – তবে আধিপত্য ধরে রাখতে তারা ‘মরিয়া চেষ্টা’ করছে। পুতিন বলেন, আমাদের চোখের সামনে একটি ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
অবশ্য পুতিনের এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ সামনে আনা হয়নি।