শ্যামনগর ভূরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরিপুর এলাকায় ইট পাজায় অবাধে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রশাসনের একেবারেই নাকের ডগায় চলছে এসব কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। সরেজমিনে ১৪ই জুন বুধবার যেয়ে দেখা শ্যামনগর উপজেলার ১নং ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পাঁজা তৈরি করে ইট পোড়াচ্ছে ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল নামক এক প্রভাবশালী
কৃষি আবাদি জমি নষ্ট করে জনবসতি এলাকায় ইট পাজার জ্বালানিতে ব্যবহার প্রজাতির গাছের কাঠ। অভিযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে ইট পোড়ানো কার্যক্রম
স্থানীয়রা জানান,ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল প্রায় সময় অবাধে ইট পাজা উপেন করে জ্বালানি হিসাবে কাঠ ব্যবহার করেন। ইট পাজা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। তারা আরও জানান, ইট পোড়ানো শেষে ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল এসব ইট বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তারা আরও বলেন, মুলত ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল একজন ইট পাজা ব্যবসায়ী। জানা গেছে গৌরিপুর গ্রামের : বসন্ত মন্ডলের পুত্র ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল।
দীর্ঘদিন ধরে জনবসতি এলাকায় হাতে ইট কেটে ইট পোড়ানো পাজা স্থাপন করে জনবসতি এলাকায় ‘ইট পোড়ানোর কারনে পরিবেশের ভারসাম নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল জনবহুল এলাকায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়ায় শিশু, কিশোর, যুবক থেকে শুরু
করে বৃদ্ধ মানুষের শ্বাসকষ্ট জনিত চাল রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ও সুশীল সমাজের মতে জনবসতি এলাকায় নিয়মবহির্ভূত ভাবে অবাধে ইট পাজায় কাঠ পোড়ানোর হোতা ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল
কে থামানো না গেলে কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি এলাকার মানুষের উপর দারুণ ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
এবিষয়ে ইটপাজার মালিক ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের দিয়ে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার’কে অবগত করেই আমি ইট পাঁজার কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানার চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত ফোনে রিং হলেও ফোনটা কেটে দেন।