শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পাঁজা তৈরি করে ইট পুড়াচ্ছে মৃত: বসন্ত মন্ডলের পুত্র ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল নামক এক প্রভাবশালী। সচেতন মহল বলছে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়াতে ধ্বংসের মুখে পরিবেশ ও ফসলী জমি ।
আইনের তোয়াক্কা না করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কিলোমিটারের ভেতরে ও আশ-পাশে ফসলি জমি ও জনবসতির মাঝে গড়ে ওঠেছে অবৈধ ইটে পাঁজা। এতে নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কেটে ও গাছ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট।
এই ইটের পাঁজার কালো ধোঁয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থী ও আশপাশের গাছগাছালি এবং স্থানীয়রা বিপাকে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির উর্বর শক্তি, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে ফসল উৎপাদন।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ তে বলা হয়েছে, স্কুল কলেজের ২ (দুই) কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো ধরনের ইটভাটা তৈরি ও ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসাবে কোনো কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। আর কৃষি জমি, আবাসিক এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না বলে আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
ইটপাঁজার মালিক ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের দিয়ে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার’কে অবগত করেই আমি ইট পাঁজার কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো আক্তার হোসেন এর কাছে জানার চেষ্টা করলে ব্যবহৃত ফোনে রিং হলেও ফোনটা কেটে দেন।