প্রধানমন্ত্রীর পতন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় মোঃ মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান আরজু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুর রহমান উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধুরুয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
আজিজুর রহমান আরজু বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমান গুরুতর অপরাধ করেছেন। যা একজন শিক্ষকের কাছে আমরা কখনই প্রত্যাশা করিনি। তাই আমরা কমিটির লোকজন জরুরি সভা করে নিয়ম মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং স্থায়ী বরখাস্তের জন্য পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষক মিজানুর রহমান ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তার ফেসবুকে গত ২১ মে একটা স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি লেখেন,‘আগে শেখ হাসিনার পতন, পরে জাতীয় নির্বাচন।’ এমন স্ট্যাটাস দেখে মুহূর্তেই এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডেকে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই সময় আমার ফেসবুক আইডিটা হ্যাকড হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টা নিয়ে আমি বর্তমানে খুবই বিপাকে আছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষক মিজানুর রহমানকে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সাময়িকভাবে বরখাস্তের বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোবাইলে আমার সঙ্গে পরামর্শও করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিক্ষক হিসেবে মিজানুর রহমান কোনোভাবেই এমন স্ট্যাটাস দিতে পারেন না। এটা তার চাকরি নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।