জালিয়াতির অভিযোগে শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রার মইনুল হক সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী মৌজার এস এ-১১০১, এস এ দাগ- ৮৮৪,৮৮৫,৯২৫ ও বি এস খতিয়ান ১৭৬৭, দাগ – ১২২৮,১২২৯১২৬৮,১২৭০,১২৭১,১২৭২। জমির পরিমান ৬৬ শতক। এ ঘটনায় কাশীমাড়ী গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার বাদী আদালতে ওই এলাকার সানাউল্লাহ সরদার,মহবত আলী সরদার,আব্দুর রাজ্জাক, বুলবুল ইসলাম মোড়ল, ইদ্রিস আলী,মেহেদী হাসান,দলিল লেখক মিজানুর রহমান মিন্টু – লাইসেন্স নং- ৩০/১৯৮৭, সাব- রেজিস্ট্রার ( ভারপ্রাপ্ত) মইনুল হক ও জেলা রেজিস্ট্রার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।মামলা নং- ১২৪/২০২৩। বাদী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ভোগদখলী জমি জাল মিউটেশন, জাল খাজনা সহ সকল কাগজ জাল সৃষ্টি করে বিবাবীগন শ্যামনগর সাব- রেজিস্ট্রার মইনুল হক কে মোটা টাকায় দলিল লেখক মিজানুর রহমান ম্যানেজ করে জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে দিয়েছে । এ ছাড়া এ ঘটনায় বাদী আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান মহোদয় ও সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।বিশেষ সুত্রে জানা গেছে,শ্যামনগর উপজেলা সাব- রেজিস্ট্রার ( ভারপ্রাপ্ত) মইনুল হক প্রতিমাসে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঘুষ আদায় করছে দলিল লেখকদের মাধ্যমে। ওনাকে লাখে এক হাজার করে ঘুষের টাকা দিতে হয়।প্রতি সপ্তাহে নিম্নতম ৪/৫ কোটি টাকার কাজ হয়ে থাকে, সেই হিসাবে তিনি ৩/৪ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন সপ্তাহে।ঘুষের টাকা নিয়ে কেউ তাল বাহনা করলে সেই সেরেস্তার দলিল লেখক কে সাময়িক বরখস্ত করা হয়। তিনি এ অফিসে যোগ দিয়েই কমপক্ষে ১৮ /২০ জন দলিল লেখক কে সাময়িক ভাবে বরখস্ত করে একটি আতংক পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। বরখস্ত হওয়ার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এছাড়া তিনি জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সম্মানিত্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গনের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে তাদের প্যাডে দেয়া নামের প্রত্যায়নপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন।তিনি বলেছেন চেয়ারম্যানরা ভোটের আশায় ইচ্ছামত প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে থাকেন।তিনি এ প্রত্যায়ন পত্রকে তাচ্ছিল্য করে কোর্টের এ্যাভিডেভিড ছাড়া দলিল রেজিষ্টী করেন না। এর পুর্বের অফিসার চেয়ারম্যানগনের নামের প্রত্যায়নে দলিল রেজিষ্ট্রী করেছেন।তাতে কোন সমস্যা হয়নি।এ অফিসার নানা ভাবে পয়সা কামানোর লক্ষ্যে সাধারন মানুষ কে হয়রানী করে চলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করলে সব কিছু বেরিয়ে আসবে। শ্যামনগরের সচেতন মহল দ্রুত সাব- রেজিস্ট্রার মইনুল হক কে অপসারন করার দাবী করেছেন।অন্যায় সাধারন ভুক্তভোগী মহল সংবাদ সম্মেলন সহ মানববন্ধন এর মত কর্মসৃচী নিতে বাধ্য হবেন বলে তারা জানান।
মামলার বিষয়ে শ্যামনগর সাব-রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মইনুল হক এর কাছে জানার চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত ফোনে বারবার রিং হলেও ফোন রিসিভ করেনি