সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেম করে বিয়ে, বিচ্ছেদের পরে দুই মিথ্যা মামলা স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর এর বিরুদ্ধে। এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। ঘটনা টি ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার ভূরুলিয়া ইউনিয়নের হাটছালা গ্রামে হরিদাস মন্ডল এর মেয়ে টুম্পা মন্ডল বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী ৫ নং আদালত, সাতক্ষীরা ও বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, সাতক্ষীরায় দুই টি মামলা করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাটছালা (একই) গ্রামের বিমল মন্ডল পুত্র বিপ্লব কুমার মন্ডল, স্ত্রী দুর্গা মন্ডল, বিমল মন্ডল কে আসামি করে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় ২৮৩/২৩ নং মামলা হয়েছে।
বিপ্লব কুমার মন্ডল জানান, ২০১৪ সালের ৯ জুন বিবাহ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়, সাতক্ষীরায় হাজির হয়ে বিয়ে সম্পন্ন করি। আমার স্ত্রী অবাধ্য সংসারের প্রতি উদাসীন ইচ্ছা খুশি মতো চলাফেরা করে শ্বশুর-শাশুড়ির অবাধ্য, বিষয়টি নিয়ে অনেকবার মীমাংসা করার চেষ্টা করি কিন্তু তার পর ও আমার স্ত্রী টুম্পা মন্ডল ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে চলে যায়। তারপর থেকে তার সাথে কোন ক্রমেই ঘর-সংসার করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে আমার স্ত্রীর সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়, সাতক্ষীরা থেকে। ২০২৩ সালের ১৩ ই মার্চ এফিডেফিট এর মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ( সেপারেশন) এর কাগজ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে পাঠাই।
তারপরে সংসার না করে আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য সাতক্ষীরায় দুটি মামলা করেছে। আমার ও আমার পিতামাতাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত পূর্ব আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করুক । বিপ্লব কুমার মন্ডল এর পিতা বিমল মন্ডল বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষক আমার ছেলে গ্রামের এক মেয়ের সাথে প্রেম করে কালী মন্দিরে বিয়ে করে । স্থানীয়দের মাধ্যমে মেয়েকে নিয়ে আমার বাড়িতে ওঠে আমরা মেনে নেই,সংসার ধর্ম করতে থাকে। ছেলে বাইরে পড়াশোনা করত বৌমার বাপের বাড়ি পাশে থাকায় পড়াশোনার কথা বলে ১৯ সালের শেষের দিকে চলে যায় এবং আমাদের বাড়িতে আর আসেনি। বারবার আসার জন্য যোগাযোগ করলেও আসবে না বলে দেয়। তারপরে আমার ছেলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মেয়ের বাড়িতে কাগজ পাঠায়। তারপরে আমাদের উপর দুটো মামলা দেছে কোটে।
টুম্পা মন্ডল বলেন ২০১৪ সালের জুন মাসে বিয়ে হয়েছে বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে ৫ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার বিবাহের সরঞ্জাম দেয় আমার বাবা। আমার স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় তার সহকর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে বাবা মার ইন্ধনে দাবীকৃত দু লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
মামলার সাক্ষী সুকুমার মন্ডল, জানান,
বিজ্ঞ নারী শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল , সাতক্ষীরা কোটে যে মামলা করেছে সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না । বিয়ে হয়েছিল অনেক আগে প্রেম করে আমি জানি তার মারধরের বিষয়ে তো আমার কিছু জানা নেই আমাকে সাক্ষী করেছে এটাও আমার জানা নেই। এছাড়াও একাধিক সাক্ষী জানিয়েছেন বিয়ে হয়েছিল এটা তাদের জানা আছে কিন্তু যৌতুকের টাকা কোন লেনদেন আছে কিনা মারধর করেছে কিনা তাদের জানা নেই । ঘর সংসার না করার কারণে টুম্পা মন্ডল কে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজ পাঠানোর পরে হয়রানিমূলক দুটি মামলা দেওয়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।