ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মোখা যে শক্তি নিয়ে আঘাত হানার কথা ছিল তা থেকে কম শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে। সে কারণে ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।’
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে পাঁচশর মতো রোহিঙ্গাদের শেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সম্পূর্ণ এবং কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথায় কোথাও ল্যান্ড স্লাইডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তাদের ওয়ারহাউসগুলোতে শেল্টার কিট মজুদ রেখেছে। সেগুলো আগামীকাল বা পরশু বৃষ্টি থেমে গেলে বিতরণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামত শুরু হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, তীব্র ঝড়ে উপড়ে পড়েছে গাছপালা। কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, কল্যাণপাড়া, জাদিমুড়া রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে।