সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ১৫৮ নং মধ্যম ঝাপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক এর মনগড়া ভাবে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । তিনি কোন তথ্য দিতে চাননি প্রতিবেদক দের। অনুপস্থিত ছিলেন অচিন্ত্য কুমার মন্ডল নামে একজন শিক্ষক। স্কুলের আরেকজন শিক্ষক বলেন হাজিরা খাতা সই করে মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছিলেন। তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক ছুটির দরখাস্ত ছাড়া ছুটি দিলেন কিভাবে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন ওটা আমার বিষয়।
কোমলমতি শিশুদের নানাবিধ অভিযোগ। সকাল দশটার দিকে ইস্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
স্কুলটিতে সকল ক্লাসে মিলিয়ে ৫৭ জন শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিতির হার খুবই কম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ ব্যানার্জি জানান, ভৌগলিক কারণে আমার স্কুলে শিক্ষার্থী কম। পঞ্চম শ্রেণী ৯ জন, চতুর্থ শ্রেণি ৮ জন, তৃতীয় শ্রেণি ৮ জন, দ্বিতীয় শ্রেণি ৯ জন, প্রথম শ্রেণীতে ১০ জন ও প্রাক প্রাথমিকে ১৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি আছে।
কিন্তু প্রাক প্রাথমিকের ক্লাসে যেয়ে দেখা যায় ১৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও মাত্র একজন শিক্ষার্থী। প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক একজন বাচ্ছা কে ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি জানান বাচ্চারা এসে ক্লাসে বসতে চায় না মাদের উপস্থিতি থাকলে বাচ্চারা কিছুক্ষণ থাকে তা না হলে ওরা আর ক্লাসে থাকতে চায় না। প্রাক প্রাথমিকের বাচ্চাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্লাসে দেখা যায়নি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান স্কুলে রংয়ের কাজ চলছে, ক্লাসের আলমারির ভিতরে আটকানো আছে। বাচ্চাদের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে ক্লাস নেওয়ার কথা বললে শিক্ষক রেনুকা বালা বলেন চাবি আমার কাছে নেই, প্রধান শিক্ষক বলেন, আছে অচিন্ত্য বাবুর কাছে। শিক্ষক অচিন্ত্য বাবুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন চাবি আমার কাছে নেই স্কুলে আছে।
শিক্ষার্থীদের মারধুর এর ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক অচিন্ত্য কুমার মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মারধর তো না একটু ভয় ভীতি দেখায়, বুঝেন তো, এখনকার ছেলে মেয়েরা, মারধর ও তো এখন নিষেধ আমরাও তো জানি, আপনি একদিন ক্লাসে এসে দেখেন কি করে, এখন তো তেমন আর মারধর করি না।
প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের সভাপতির ফোন নাম্বার জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান ফোন নাম্বার দিতে অশ্বিকৃতি জানান। পড়া আদায় করার জন্য ভিতি প্রদর্শন করেছে, মেরে তো আর একদোম মেরে ফেলানি।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) হুমায়ুন কোবির কাছে স্কুলের অভিযোগ তুলে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নতুন এসেছি, ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আমি দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি । যদি তার বাইরে সরকারি নিয়ম না মেনে কোন কাজ করে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।