স্কেভেটর প্রস্তুতি গাছ কাটার জন্য
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর চুনা গ্রামে আগামীকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে। চুনার মৃত মন্তেজ গাজী বাড়ি থেকে মোহাম্মদ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ঝুড়ি কোদাল দিয়ে মাটি কাটার কথা থাকলেও কাজের সাইডে দুইটা স্কেভেটর নিয়ে এসেছেন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। মৃত মন্তেজ গাজীর বাড়ি থেকে মুনছুর গাজীর বাড়ি পর্যন্ত সামাজিক বনায়নের কয়েক শত প্রাপ্তবয়স্ক গাছ আছে। যেগুলো কাটার জন্য এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে একটা দফারফা হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায় গাছ কাটতে বাঁধা না দেওয়ার শর্তে প্রভাবশালীদের অর্ধলক্ষ টাকা দিয়েছে। তাছাড়া বিশেষ দুজনকে আলাদা করে দশ হাজার টাকা দিয়েছে বলে জানান তারা। এললাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, সর্বসাধারণকে সন্তুষ্ট করতে আগামী ২২শে রমজান মসজিদে একটা ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। রবিবার (৯ই এপ্রিল) বিকালে সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায় কাজের দুই পাশে স্কেভেটরল দিয়ে কাজ করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। এ বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, কাজটা নিয়ে আমার সাথে ও ঠিকাদারের মনোমালিন্য হচ্ছিল। কিন্তু একটা পর্যায়ে সেটা সমন্বয় হয়। উন্নয়ন দরকার আছে তবে কোন কিছু নষ্ট করে উন্নয়ন করার পক্ষে আমি না।
সামাজিক বন বিভাগের পিরামিন ইসহাক বলেন, সামাজিক বনায়নের গাছ দেয়া হবে না। যদি আগামীকাল থেকে কাজ শুরু হয় তাহলে আমি সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করবো তবে কাজ দেবো না।
উপজেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কারো কথা শোনে না শুধু শ্যামনাগর নয় কালীগঞ্জেও আমাদের অনেক গাছ নষ্ট করেছে তারা। অনেকবার বলেছি তাদের কিন্তু আমাদের কথায় কোন কাজ হয় না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদাউস কে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টা জানিয়ে রাখেন। যদি এ ধরনের কোন কিছু করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুশীল সমাজের দাবি সমাজপতিদের এমন অমানবিকতা থেকে রক্ষা করতে হবে বেড়িবাঁধ রক্ষাকারী গাছ। টাকার কাছে কোন অবস্থায় গ্রাস হতে দেয়া যাবে না অক্সিজেন ফ্যাক্টরি। প্রয়োজনে সামাজিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হবে।