এক সঙ্গে জ্বলে উঠলেন সময়ের তিন সেরা তারকা – লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাতে নিশ্চিত বলা যায় প্রতিপক্ষ উড়ে যাওয়ার কথা। ঠিক তাই হয়েছে।
ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে ৭-২ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি। এর মধ্যে জোড়া গোল করেছেন মেসি। বল পোস্টে না লাগলে হ্যাটট্রিকও হতে পারত তার। এটুকুকে দুর্ভাগ্যই বলা যায়।
তবে দলের বিশাল জয়ে সে না পাওয়ার বেদনা ভুলেই গেছেন মেসি। কারণ বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি নকআউট পর্বও নিশ্চিত হলো পিএসজির।
রাতটি মেসির সঙ্গে উজ্জ্বল ছিল এমবাপ্পেরও। তিনিও জোড়া গোল করেছেন। নেইমার করেছেন একটি। ম্যাকাবি হাইফা হয়ে দুটো গোলই শোধ করেছেন আবদুলায়ে সেক।
ম্যাচে ১৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলেন মেসি। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে জাদুকরী বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। মেসির মতোই বাঁকানো শটে দলকে জোড়া গোলের লিড এনে দেন এই ফরাসি তারকা।
এরপর নেইমারের পালা। এমবাপ্পের গোলের তিন মিনিট পর মেসির অ্যাসিস্টে নিঁখুত ফিনিশিং টানেন নেইমার। স্কোরবোর্ডে নিজের নামটি লেখান।
ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ম্যাকাবির আবদুলায়ে সেক। কিন্তু বিষয়টি যেন সহ্য হলো না মেসির।
বিরতিতে যাওয়ার আগে এমবাপ্পের এসিস্টে দারুণ এক গোলে ব্যবধান ৪-১ করেন মেসি।
মেসির পায়ে হালি পূরণের পর বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫০ মিনিটে ফের ব্যবধান কমিয়ে ৪-২ করেন সেই আবদুলায়ে সেক।
গোল খেয়ে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা। ৬৪ মিনিটে মাপা বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করে এমবাপ্পে। মেসি-এমবাপ্পের জোড়া গোলের পর নেইমারের হাসফাঁস চলতে থাকে জোড়া গোল আদায়ের।
তবে এক আত্মঘাতি গোলের কারণে সেটা আর হয়নি। ৬৮ মিনিটে আত্মঘাতি গোলটি করেন স্কোরলাইন ৬-২ করেন গোল্ডবার্গ।
শেষ দিকে পোস্টে লেগে হ্যাটট্রিকের সুযোগ হাতছাড়া হয় মেসির । এর কিছু পরেই মেসির এসিস্টে দলের ৭ম গোলটি করেন কার্লোস সোলের।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ৭-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।