সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের মাঠ পাড়ায় শাপলা (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ। নিহতের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শাপলা খাতুন(২২)। তবে এ বিষয়ে নিহতের পরিবার স্বজনরা দাবি করছেন হত্যা করা হয়েছে শাপলা (২২)কে।
২৭শে নবেম্বর দিবাগত রাতে কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে যানা গিয়েছে।শাপলা খাতুন ঝিকরগাছা উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়ন শিয়ালঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুল রফ সিদ্দিকের মেয়ে। আজগর আলী মিস্ত্রী ছেলে শাহিন (২৫) এর স্ত্রী। প্রায় ৩ বছর আগে নিহত শাপলার সাথে প্রেমের সম্পর্কে শাহিনে বিবাহ হয়। নিয়তে শাশুড়ি বলেন,
সোমবার সাকলে ফজরের নামাজ পরতে গিয়ে নিহতের শাশুড়ী শাপলা কে একটি বাঁশের ওড়নার সাথে মেঝেতে ঝুলা ছিলো দেখে তাকে ডাকা ডাকি করে আর না উঠলে। তার কান্না র শব্দে গ্রামের মানুষ ছুটে আসে। এ বিষয়ে প্রতিবেশীর সাথে কথা বললে তার জানান কেউ শাপলাকে ঝুলে থাকতে দেখেনি। তবে তার চোখের উপরে এবং ঠোঁট দিয়ে রক্ত দেখা গিয়েছে,মুখ ফুলা ছিলো।পারিবারিক কোন ঝামেলা ছিলো কিনা প্রতিবেশীরা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে নিহতের বোন ও বোনের মেয়েরা এটা হত্যা হয়েছে বলে দাবি করেন। তার বোনের মেয়ে বলেন, প্রায় সময় তাদের পরিবারের শাহিনের সাথে গন্ডগোল লেগে থাকতো। সে আমাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েও মারধর করেছে আমার খালাকে। গতকাল রাতে এমনি কিছু ঘটেছে যার কারণে তাকে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে দাবি করেন তার পরিবার।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, আমরা বিষয়টি জানামাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি ঘটনাস্থলটি দেখলাম সুরতহাল করা হয়েছে লাশ পোস্টমাডেম জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা হত্যাকাণ্ড কি আত্মহত্যা সেটা পোস্টমটামের পরেই বদলা যবে। নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা জেলা সার্কেল এসপি মীর আসাদুজ্জাম বলেন, নিহতের স্বামীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি আরো বলেন যদি এটি হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে তবে কাউকে ছাড়তে হবে না আইনগত ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে।
সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল সাংবাদিকদের কে জানান, এই গ্রামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে শুনে আমরা এখানে এসেছি কলারোয়া থানা পুলিশ এসেছে। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা সেটা থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বলতে পারবেন। তবে শাহিন ও তার স্ত্রী শাপলা দুজনে ভালো মানুষ বলে আমরা জানি।