শেরপুরের শ্রীবরদীতে গার্মেন্টস কর্মী (২৫) কে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা গ্রামের এক মৎস্য খামারের পুকুর পাড়ে। এ ঘটনায় ২৫ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ৫ব্যক্তিকে আসামী করে
ওই গার্মন্টসকর্মী বাদি হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা ওই গার্মন্টসকর্মীর বিয়ে হয় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় । স্বামী সহ সে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। গত কয়েকদিন আগে ওই নারী ঢাকা থেকে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা আসান্দিপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন । ২৪ নভেম্বর রাতে তার মামাতো বোনকে নিয়ে বাড়ির পাশে এক ওয়াজমাহফিলে ওয়াজ শুনতে যায়। ওয়াজ শুনে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় যুবক মিল্লাদ (৪০), ফারুক মিয়া (৩৯), বাবু মিয়া (২৫), নজরুল ইসলাম (৩৫) ও শিপন মিয়া ওরফে চুক্কা (২৮) মিলে ওই নারীকে স্থানীয় জনৈক সাইদুর রহমানের মৎস্য খামারের পুকুর পাড়ে নিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই ৫ ব্যক্তিকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী নির্যাতনের ৯ (৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের ওই গার্মেন্টস কর্মী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নাইম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।