জুমার নামাজের খুতবা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে ধর্মীয় উস্কানীমুলক বক্তেব্যের জেরে অধ্যক্ষ মাওলানা ওজায়ের হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়রা।
এঘটনায় শ্যামনগর থানায় যুবলীগ নেতা একটি মামলা করে। ১৮ নভেম্বর শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে শ্যামনগর উপজেলার হায়বাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওজায়ের হোসেন নিজ বাড়ি সংলগ্ন শামনগর কেন্দ্রীয় আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বরত। এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শ্যামনগর উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক
হায়বাদপুর গ্রামের আল মামুন লিটন এঘটনায় শ্যামনগর থানায় একটি ১৯ নভেম্বর ২২ মামলা দায়ের করে মামলা নং ১৯ । স্থানীয়রা জানায় শুক্রবার জুমার নামাযের খুতবা শুরুর আগে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ওজায়ের হোসেন। এসময় তিনি ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে ছবি সংবলিত বিষয় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নিজ শংকার কথা জানান। একপর্যায়ে টুপি নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, নামাজ শেষে মুসল্লীরা মাওলানা ওজায়ের হোসেনের বক্তব্য নিয়ে নিজেদের আপত্তি প্রকাশ করতে থাকে। এসময় সেখানে উপস্থিত মুসুল্লীসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে ওজায়ের হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা থেকে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এবিষয়ে মাওলানা ওজায়ের হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলে ‘অপেক্ষমান’ দেখা গেলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) মো: জেল্লাল হোসেন জানান, প্রকৃতপক্ষে মসিজদে কি ঘটেছিল তা আমাদের জানা নেই। তবে উত্তেজিত জনতা খুতবার পুর্বে ওজায়ের হোসেনের কোন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। মাওলানা ওজায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।