সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিভেদের জেরে আদালতে ন্যায় বিচার চাওয়ায় বাঁদি আমিনুর রহমান কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
(১৬ নভেম্বর) বুধবার সকাল ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমিনুর রহমান শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা।
তিনি জানান, কালিগঞ্জ থানা, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সাতক্ষীরা, পরমানন্দকাটি গ্রামের আমিনুর রহমান পিং-মৃত শেখ জনাব আলী, বাদি হয়ে আব্দুল আলিম পিং-মৃত শেখ জনাব আলী, মোঃ হাসানুর রহমান পিং-মোঃ নাজিম উদ্দীন গাজী, মোছাঃ হাসিনা খাতুন, অং-মোঃ নাজিম উদ্দীন গাজী, মোঃ মিজানুর রহমান পিং-মৃত শেখ জনাব আলী, মোঃ রেজাউল ইসলাম পিং-আব্দুল আলিম, সর্ব সাং-পরমানন্দকাটি, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা- সাতক্ষীরা সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের (১৬ নভেম্বর) বুধবার সকালে বাড়িতে কাজ করার সময় আমার খরিদকৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করে। ইতিপূর্বে বিবাদীরা আমার সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করিলে আমি কালিগঞ্জ থানা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সাতক্ষীরায় মামলা নং- দেং ২৪১/২২ দায়ের করি। এছাড়াও আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালত, সাতক্ষীরায় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারা মোতাবেক ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরায় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৭/১১৭ ধারায় মামলা দায়ের করি। তার পরও সন্ত্রাসী বাহিনী, অনধিকারভাবে আমার বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে আমাকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করিলে সকল সন্ত্রাসী আমাকে বাঁশের লাঠি ও শাবল দিয়া এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত করে। আমার ডাক-চিৎকারে আমার ছেলে মোঃ আলামিন ও মোছাঃ আকলিমা খাতুন ঠেকাইতে আসিলে সকল সন্ত্রাসী তাহাদেরকেও মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। বিবাদীরা আমাকে ও আমার পুত্রকে মারপিট করিতেছে যাহা আমার মেয়ে আবিদা সুলতানা তাহার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করছিল, তারা আমার কন্যার নিকট থেকে টার্চ- মোবাইল ফোনটি নিয়া নেয় এবং আমার কন্যাকে ও এলোপাতাড়ি মারধোর করে জখম করে। আমাদের ডাক-চিৎকারে অনেকে আসিয়া বিবাদীদের হাত হইতে আমাদেরকে উদ্ধার করে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। আরো জানা এই ঘটনায় কালিগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।