প্রায়শই সাপের মারণ বিষ উদ্ধার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। কখনও তা গোখরোর বিষ, কখনও মারাত্মক কালাচের। ভারত- বাংলাদেশের হিলি সীমান্তে কালিবাদী গ্রামে সম্প্রতি ধরা পড়েছে এক জার ভর্তি ২ কেজি ১৪০ গ্রামের গোখরোর বিষ। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এক ব্যক্তি বিএসএফের তাড়া খেয়ে ঝোপের আড়ালে কালো প্লাস্টিক এ মোড়া জারটি রেখে পালিয়ে যায়। জারটি বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জারের গায়ে একটি লেবেল সাটা ছিল যাতে লেখা- কোবরা এসপি, রেড ড্রাগন, মেড ইন ফ্রান্স, স্যাম্পল নম্বর- ৬০৯৭। ইদানিং সাপের যে বিষই উদ্ধার হোক তাতে ফ্রান্সের নাম লেখা থাকছেই। গত ১লা সেপ্টেম্বর ৬১ নম্বর বাটালিয়ান এর ডিগিপাড়া বর্ডার আউটপোস্ট। ১৭ কোটি চব্বিশ লক্ষ পয়তাল্লিশ হাজার টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করে সেখানেও জারের গায়ে ফ্রান্সের রেড ড্রাগন এর কথা লেখা ছিল।
এর ফলে সাপের বিষ পাচারের সঙ্গে ফ্রান্সের কুখ্যাত মাফিয়া গোষ্ঠী রেড ড্রাগনের একটি যোগাসাজশ আছে এমন মনে করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের ওষুধ নির্মাতাদের কাছে সাপের বিষ ওষুধ নির্মাণের একটি বড় উপাদান। সেই কারণেই সর্প বিশিষ্ট বাংলাদেশ ও ভারত এই আন্তর্জাতিক চক্রের অন্যতম সেরা মৃগয়া ভূমি। বাংলাদেশের গোখরো, কালাচ, কেউটে প্রভৃতি সাপের বিষের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের গোখরো, কেউটে, শাখামুটি, চন্দ্রবোড়া সাপের বিষ আদৃত বিশ্বজুড়ে। সার্বিকভাবেই ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত এখন সাপের বিষ চোরাচালানের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাপের বিষ কখনও তরল আকারে কখনও বা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তা পাউডারে পরিণত করে সরবরাহ হচ্ছে। যেহেতু চোরাচালানিরা একজনও ধরা পড়ছে না তাই বিএসএফ বা বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকেও সন্দেহের উর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না।