পশ্চিম বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জে আনুষ্ঠানিক ভাবে মধু আহরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে সোমবার (৭ই এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বনবিভাগের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট ৭১নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, নীলডুমুর ১৭ বিজিবি”র প্রতিনিধি আবুল কালাম, বুড়িগোয়ালিনী নৌপুলিশ”র ইনর্চাজ ইমদাদুল হক,সাতক্ষীরা জোন ট্যুরিস্ট পুলিশএর ইনর্চাজ ও কোস্টগার্ড এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ, সমাজসেবক, সাংবাদিক প্রমুখ।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।
মৌয়ালদের মধ্যে মোঃ আবু মুসা বলেন, মৌচাক থেকে যদি সময় মত মধু আহরণ না করা যায় তাহলে সেই অঞ্চলে মধু হয় না। অভয়ারণ্য এলাকা যদি খুলে দেওয়া হয়। তাহলে সুন্দরবনে মধুর অভাব হবে না। অভয়ারণ্যে সময় মত মধু কাটা হয় না বলে প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের মধু কমে যাচ্ছে। আমাদের দাবি মধুর সময় অভয়ারণ্য এলাকাকে মুক্ত করে দেওয়া।
সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকো ট্যুরিজম এর সত্ত্বাধিকারী নাজমুল শাহাদাত পলাশ বলেন, সুন্দরবনের মধু ব্যবসায়ীদের বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিবন্ধন দিতে হবে। তারা যেন বুঝাইতে পারে এটা সুন্দরবনের মধু আমরা ছাড়া অন্য কেউ বিক্রি করতে পারবেনা। তা না হলে অনলাইনে যেভাবে মধু বিক্রি শুরু হয়েছে অধিকাংশ ক্রেতারা সুন্দরবনের মধুর উপরে ভিন্ন ধারণা তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন সুন্দরবনের অধিকাংশ জায়গা বাংলাদেশের ভিতরে অথচ জিআই সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সুন্দরবনের মধু যেন জিআই স্বীকৃতি পায় সেজন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, সুন্দরবনের খলিসা ফুলের মধুকে জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। আশা করি আগামী দুই এক বছরের মধ্যে এই সফলতা আপনারা দেখতে পারবেন