সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য সড়কপথে সাতক্ষীরার আকর্ষণ সুন্দরবন ভ্রমণ। অথচ সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী মহাসড়কের বেহালদশা, চলাচল সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাফিউজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ২০২৩ সালে একনেক কতৃক সিভিল ওয়ার্কে পাশ হয় ৬ শত ৯৭ কোটি টাকা লাবনী মোড় থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ৬টা প্যাকেজে ৬ জন ঠিকাদার কাজ করবে। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সি এস ( তুলনামূলক বিবরণী) পাশ না হলে ঠিকাদাররা কাজের জন্য ফিল্ডে নামতে পারবে না। বাংলাদেশের সড়ক গুলি ৩টি ধাপে বিভক্ত : জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক,ও জেলা মহাসড়ক। উল্লেখ্য, এ সড়কটি জেলা মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানের এ সড়কটি প্রস্থ ১৮ ফুট অর্থাৎ ৫. ৫ মিটার রয়েছে। বর্তমান টেন্ডারে সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত প্রস্থ ১০. ৩ অর্থাৎ ৩৩.৫০ ফুট ও কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত প্রস্থ ৭.৩ মিটার অর্থাৎ ২৪ ফুট চওড়া হবে। তিনি আরো জানান, এ সড়কটি ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ কাজ হয়েছিল। দীর্ঘ ২৬ বছর কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। ফলে সড়কটি বেশি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সুন্দরবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি । সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরার ৪ টি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।সড়কটিতে দ্রুত কাজ হলে সড়কপথে পর্যটকরা অল্প সময়ের মধ্যে ভেটখালী কলবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জে পৌঁছে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে।এছাড়া সাতক্ষীরা হতে মাছ রপ্তানি করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পাবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় গড়ে ওঠা কলবাড়ি ও মুন্সীগঞ্জে সবুজ মনোরম সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতি গাছের মধ্যে গড়ে ওঠা আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম ইকোপার্ক। এখানে রয়েছে সুশিলনের টাইগার পয়েন্ট, বরসার রিসোর্স সেন্টার,ও আকাশলীলা ইক ট্যুরিজম ইকো পার্কে রয়েছে সীতা তাপ নিয়ন্ত্রিত আবাসিক রুম l এছাড়া তৈরি হচ্ছে সুন্দরবনের গোল পাতার ছাউনি বিশিষ্ট ঠান্ডা বসবাস যোগ্য একাধিক ঘর । নীলডুমুরে রয়েছে বিজিবির হেডকোয়াটার, বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস, নৌ থানা ও টুরিস্ট পুলিশ ফাঁড়ি। কলবাড়ি থেকে নীল ডুমুর পর্যন্ত জেলা বোর্ডের রাস্তা দুই পাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান l কাকড়া ও বাগদার রেনুর হ্যাচারি l এ সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিমাসে সফ্টসেল কাকড়া সীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চিটাগাং কক্সবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে এই রোড দিয়ে যাতায়াত করে । যার কারনে রাস্তাটি খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ l সাতক্ষীরা থেকে মুন্সিগঞ্জ বা ভেটখালী সরাসরি কোন রাস্তা নেই। কালীগঞ্জে এসে বাস পরিবর্তন করতে হয়। সেখানে এসে ৩০/৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। ব্যক্তিগত গাড়ি বা পরিবহনের সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর আসতে গেলে লোকাল বাস মালিক সমিতির লোকেরা চেক বসিয়ে বারবার নামিয়ে হয়রানি সহ চাদা আদায় করে । এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ l. সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে ভেটখালী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে । সড়কটির টেন্ডারের সিএস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ছাড় করণসহ পর্যটক থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পেতে রাস্তাটি অতি দ্রুত কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শ্যামনগর কালীগঞ্জ ও সাতক্ষীরা বাসীl
ছবির ক্যাপশন সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী গুরুত্বপূর্ণ সড়কের শ্যামনগর কালীগঞ্জের মধ্যে সড়কটির বেহাল দশার একাংশ।