সাতক্ষীরায় জীবাশ্ম জ্বালানী কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) সাতক্ষীরা চালতেতলাস্থ ক্যাথলিক চার্চ মিশনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এ নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়।
এডভোকেসি সভায় সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সাহিদুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সদস্য জেলা পরিষদ এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, প্যানেল মেয়র-০১ শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন, স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, ক্রিসেন্ট’র নির্বাহী পরিচালক একে এম আবু জাফর সিদ্দিকী, ভয়েস অপ সাতক্ষীরা সম্পাদক ও এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সদস্য সাকিবুর রহমান বাবলা, সবুজ জ¦ালানী সবুজ চুলার উদ্ভাবক মোস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী লিটন, বারসিক প্রতিনিধি গাজী মাহিদা মিজান, হেড সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সরদার প্রমুখ।
উক্ত এডভোকেসি সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডোর প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ^াস। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম ও এডভোকেসি সভার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)।
স্থানীয় পর্যায়ে জীবশ্ম জ্বালানীর কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ¦ালানির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়। অবশেষে “নেটওয়ার্ক অপ এনার্জি ট্রান্সফরমেশন সাতক্ষীরা” (নেটস) নামে নেটওয়ার্কের নামকরন করা হয়।
এডভোকেসি সভায় নেটওয়ার্ক মেম্বারদের সাথে নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রতিনিধিদের সাথে জীবাশ^ জ¦ালানীর ব্যবহার কমিয়ে কিভাবে নবায়নযোগ্য বিকল্প জ¦ালানীর শক্তির উৎসকে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে সম্পর্কে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ গ্রহন করা হবে এবং ডিসেম্বর-২৩ এর মধ্যে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। নেটওয়ার্কের সাথে ছোট ছোট বিভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করা। কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেটওয়ার্কের কার কি দায়িত্ব তা সুস্পষ্টভাবে বর্ননা (এমও ইউ) করা। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে যুবকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির চেষ্টা করা। স্থানীয় পর্যায়ে নেটওয়ার্কের কার্যক্রম যাতে আরো শক্তিশালী হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করা। যুবদের কাজের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে যুব নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করা।
এডভোকেসি সভার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে যুবদের সমন্বয়ে জীবাশ্ম জ্বালানী হ্রাস করে নবায়নযোগ্য শক্তির পরিবর্তনের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য একটি নেটওয়ার্ক করা যা থেকে স্থানীয় সমস্যাগুলো তুলে ধরা। জীবাশ্ম জালানী কমায়ে নবায়ণযোগ্য জ্বালানীর জন্য সরকারের পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় যাবে কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর নির্ভর করে ঐ লক্ষ্যে পৌছানো খুবই ঝুকিপূর্ন, সুতারং ২০৪১ এর আগেই দেশে নবায়ন যোগ্য জ¦ালানী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
বক্তরা বলেন, একশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিডো সংস্থার বাস্তবায়নে এফরটি প্রকল্পের আওতায় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সত্যিই যুগোপযোগি একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে সেজন্য সিডো সংস্থা সত্যিই সেটি প্রশংসার দাবিদার। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আগামীতে জীবশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে কিভাবে নবায়নযোগ্য জ্বলানী ব্যবহারের বিষয়ে কার্যক্রম করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার গিয়াসউদ্দীন, চন্দ্রশেখর হালদার, চন্দন কুমার বৈদ্য, বৈশাখী সুলতানা ও যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ।