সাতক্ষীরার শ্যামনগর ৭৯নং অন্তাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিয়ারী পারভীন এর বিরুদ্ধে অশালীন, অসামাজিক ও সন্নাসী আচরনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট এলাকায় অন্তাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর।
লিখিত অভিযোগে বলেন সহকারী শিক্ষক পিয়ারী পারভীন প্রায়ই দেরী করে বিদ্যালয়ে আসেন এবং জোর পূর্বক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। যথাসময়ে ক্লাসে যেয়ে পাঠদান করেন না। অফিস কক্ষে বসে থাকেন অথবা বাহিরে বসে ফেসবুক চালান। তিনি শ্রেণি কক্ষেও বসে ফোনে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত। থাকেন। তিনি প্রায়ই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসামাজিক ও অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তিনি শিশুদের সাথে বাজে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যাহা শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের উপর প্রভাব পড়বে। তিনি সরকারি নিয়ম নীতি ও চাকুরী বিধি মানতে প্রস্তুত নহেন।
প্রধান শিক্ষকের আদেশ নিষেধ তিনি প্রায়ই অমান্য করেন এবং আক্রমনাত্বক ভঙ্গিতে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। তিনি প্রধান শিক্ষকের নিষেধ অমান্য করে প্রায়ই ৫ম শ্রেণির বাংলা ক্লাসে বসে সকালের নাস্তা খান। তিনি প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পুরুষ শিক্ষকের নামে ও শিক্ষা অফিসের কেরানীর নামে নারী কেলেঙ্কারীর অপবাদ সহকারী শিক্ষক গণের নিকট প্রচার করেন, যাহা অতীব লজ্জাজনক। তিনি শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক ও অন্য সহকারীদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। তিনি সর্বদা স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন করে চলেন। তাহার স্বেচ্ছাচারিতা ও অশালীন আচরনের কারনে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানান আমরা অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।