শ্যামনগর পল্লীবিদ্যুতের ভূতূড়ে বিলের শিকার গ্রাহকরা ৷ অবশিষ্ট টাকার হদিস জানতে চাই গ্রাহকরা ৷ প্রতিমাসে বিদ্যুতের অতিরিক্ত রিডিং নিয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা ৷ বার বার ভুল করে অফিসে যেতে হয় গ্রাহকদের৷ অফিসে সিরিয়াল সহ নানা হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকরা ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন ৷
দিয়েছেন শ্যামনগর উপকূল অঞ্চলের বনের মধ্য বসতিগুলোতেও ৷ কিন্তু গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন ভূতুড়ে বিলের কারনে ৷
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে যে, গেলো মাসের বিল প্রস্তুতে ব্যপক ইউনিট বাড়ানো হয়েছে ৷ প্রায় প্রতিটি মিটারে ৩০ থেকে ৪০ ইউনিট বাড়ানো হয়েছে ৷
স্বরজমিনে প্রায় মিটারের মধ্যে একটি মিটারে দেখাগেছে যে, পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গত ০৬ জুন ২০২৩ তারিখে সর্বশেষ রিডিং দেখিয়েছেন ১০০০ ইউনিট অথচ ২২ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত মিটারে এখনো ১০০০ হয়নি ৷ বর্তমান মিটারে দেখা যাচ্ছে ৯৪৬ ইউনিট ৷
একটি অনুসন্ধানী তদন্তে হিসাব মতে ১ থেকে ৭৬ ইউনিট পর্যন্ত ৪.৮৫ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬.৬৩ পয়সা৷ মিটারে ৭৬ ইউনিটের পর থেকে অবশিষ্ট ৬৯ ইউনিটের প্রতি ইউনিট ১.৭৮ পয়সা৷ অতএব মিটারটিতে ১২২ টাকা ৮২ পয়সা বেশি টাকার হদিস জানতে চাই গ্রাহকরা ৷ কারন পরবর্তিতে ৭৬ ইউনিটের মধ্যে এই অবশিষ্ট ইউনিট চালিয়ে দেন রিডিং ম্যানরা ৷
উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামের মৃত অনিল বৈদ্যর ছেলে হরেন বৈদ্য বলেন আমার ২ মাস মিটারের সংযোগ বিছিন্ন কিন্তু প্রতি মাসে ১৩০ টাকা বিল আসছে ৷
বরেন্দ্রনাথ বৈদ্য বলেন, আমার মিটারে রিডিং আছে ১২৬০ ইউনিট কিন্তু বিল পাঠিয়েছেন ১২৮০ ইউনিট ৷
রিডিং ম্যান সোহেল রানা বলেন, জুন মাসে একটু রিডিং বেশি হয় ৷ যায় হোক সংশোধন করে দেওয়া হবে ৷
শ্যামনগর উপজেলা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সঞ্চিত কুমার মন্ডল বলেন, বিলের কপি নিয়ে অফিসে আসুন ৷ সংশোধন করে দেওয়া হবে ৷
সাতক্ষীরা জেনারেল ম্যানেঞ্জার জিয়াউর রহমান বলেন, আমি অফিসে ফোন করে দিচ্ছি কাউকে পাঠিয়ে দিলে সংশোধন করিয়ে দিবে