সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলাধীন গোপাল পার্কের যাওয়ার আগে বাদঘাটা গ্রামের খাল পাড়ে এক ঘরের ভীতর থেকে ৪ সন্তানের জননীর দুর্গন্ধযুক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
মৃত বৃদ্ধা হলেন শ্যামনগর বাদঘাটা গ্রামের মৃত আবু ইনসান এর স্ত্রী মমতাজ বেগম (৬২)। ৭মে রবিবার বিকাল ৬ টায় সময় পুলিশ ঘরের দরজা খুলে লাশ বের করেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়, মমতাজ বেগমের ৪ পুত্র থাকার সত্বেও কেউ তাকে দেখাশুনা করতো না। তার পুত্ররা বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানে বসবাস করে। আর মমতাজ বেগম একা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতো।
প্রতিবেশী মর্জিনা আক্তার বলেন, আমি কাল দুপুর থেকে তাকে দেখতে না পেয়ে আজ দুপুর চারটার দিকে তার খোঁজ নিতে আসি। এসে দেখি তার ঘরের দরজা লাগানো। তারপর পাশের কয়েক জনকে ডেকে খোঁজ নেই এবং তার পরে জানালা দিয়ে কয়েকজন দেখে মমতাজ বেগম ভুট হয়ে খাটের নিচে পড়ে আছে। আমরা দরজা না খুলে পুলিশকে খবর দেই।
প্রতিবেশী লাকি আক্তার বলেন, আমি ৯৯৯ কল করে পুলিশকে খবর দেই। এবং পরপরেই পুলিশ এসে হাজির হয়।
স্থানীয়রা বলেন, মমতাজ বেগম হাই-প্রেসারের রুগি ছিলেন, বহুবার হসপিটালে চিকিৎসা হতে গিয়েছে। শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘর খুলে দেখেন মমতাজ বেগমের লাশ খাটের নিচে মাটিতে ভুট হয়ে পড়ে আছে।
শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হাফিজুর রহমান বলেন, মমতাজ বেগমের ৪ পুত্র অনুরোধ করে বলেন তার মায়ের হাই-প্রেসারের কারণে স্টোক করে মৃত্যু হয়েছে। তাদের কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই। এলাকার লোকজন আমার মাকে খুব ভালোবাসতো। তাদের অভিযোগ না থাকায় এবং এলাবাসী ও মেম্বারদের অনুরোধে লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।