সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হত্যার মামলার আসামিরা ঘুরছে প্রকাশ্যে।ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন বন বলেন,
২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন- রমজাননগরের সোনাখালী গ্রামের আব্দুর রশিদ কাগুজীর কন্যা রেশমা খাতুন (২৬)। তার ছোট ভাই আরমিয়া হোসেন (২৪) কে বিগত ১২/৯/২০২৪ তারিখে হত্যার অভিযোগে শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা না হলেও ইউডি মামলা হয়। যার নং-৩৩/২৪ (শ্যাম:)। পরবর্তীতে তার পিতা বিজ্ঞ সাতক্ষীরা আমলী ০৫ নং (শ্যামঃ) আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে শ্যামগর থানা কে এফ, আই, আর করার নির্দেশ প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে শ্যামনগর থানায় মামলা হয়। যার নং-২৮, জি, আর-৩১৪/২৪ (শ্যামঃ), ধারা-৩০২, ২০১,৩৪, ১০৯ অর্থাৎ পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে খুন করে লাশ গুম করার অপরাধ। এ মামলার আসামীরা হল- বংশীপুর গ্রামের আহাদুল্লাহ গাজীর পুত্র ইদ্রিস আলী, ইদ্রিস আলীর স্ত্রী-সালমা খাতুন, চিংড়াখালি গ্রামের আরশাদ গাজীর পুত্র আবু বক্কর গাজী, আহাদুল্লাহ গাজীর পুত্র মফিজুর রহমান। আসামীরা মামলার বাদী তার পিতাসহ স্বাক্ষীদের হত্যার হুমকী দিলে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরাতে পিটিশন ১০৪৬/২৪ (শ্যামঃ) মামলা করেন। যার ধারা-১০৭, ১১৭ (গ)। বর্তমানে আসামীরা মামলার বাদী তার পিতাসহ তাদের পরিবার কে হত্যার হুমকী,গুম করা, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, হত্যা মামলার পরিবর্তে আত্মহত্যা মামলায় পরিনত করতে প্রভাবিত করার বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করা হয়। তাছাড়া হত্যা মামলার কোন আসামী কে গ্রেফতার না করায় তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই মিজানূর রহমান শেখ আসামীদের থেকে অনৈতিক সুবিধা নেন মর্মে অভিযোগ করা হয়। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় এবং বাড়িতে অবস্থান করলেও পুলিশ তাদের কে গ্রেফতার করছেন না। এস,আই মিজানুর রহমান শেখের হস্তক্ষেপে ময়নাতদন্তে প্রভাবিত করার অভিযোগও করেন। এ মামলার আসামী আবু বক্কর গাজী মটর সাইকেল ছিনতাই ও ডাকাত দলের চিহ্নিত গড ফাদার হওয়ায় তার পিতা কে নানাবিধ হয়রানী ও হত্যা করার হুমকী দেয়ার অভিযোগ তোলেন। আরমিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কে পরিবর্তন করে এবং পি,বি,আই/সি,আইডি দ্বারা পুনরায় ময়না তদন্ত যথাযথ সম্পন্ন করতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারঃ সহ যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।