শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী গ্রামে সুদের টাকার কারনে এক মুন্ডা পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানে পরিবারসহ নিখোঁজ আছে। সরজমিনে দেখা যায় , কালিঞ্চী গ্রামের মৃত পূর্ন চরন মুন্ডার পুত্র রনজিৎ মুন্ডা , রনজিৎ মুন্ডার পুত্র সতীষ মুন্ডা , সতীষ মুন্ডার স্ত্রী সেফালী মুন্ডা , সতীষ মুন্ডার কন্যা স্মৃতি মুন্ডা , পুত্র অভিজিৎ মুন্ডা সুদের টাকার কারনে ভিটাবাড়ী হারিয়ে বর্তমানে নিখোঁজ আছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চ্যলর সৃষ্টি হয়েছে। ০৯ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ গোপাল মুন্ডা বলেন , সতীষ মুন্ডার পিতা রনজিৎ মুন্ডা ২০২০ সালে টেংরাখালী গ্রামের মৃত মান্দার গাজীর পুত্র মোঃ আনিছুর রহমানের নিকট থেকে ৭৬ হাজার ৫০০টাকা বাৎসরিক ৪ হাজার টাকা হারী হিসাবে গ্রহন করে। উক্ত টাকা প্রদান করার সময় আনিছুর সু-কৌশলে রনজিৎ মুন্ডার নিকট থেকে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে টিপ সহি নেওয়াসহ বন্দোবস্ত জমির দলিল গ্রহন করে। সতীষ মুন্ডা প্রতি বছর আনিছুরকে ৪ হাজার টাকা প্রদান করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে আনিছুর উক্ত স্ট্যামের বলে রনজিৎ মুন্ডা তাকে ১১ কাটা জমি লিখে দিয়েছে বলে তার বসত ভিটা জবর দখলসহ পুকুর খনন করছে। বিগত বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউ,পি সদস্য আলী আজগর বুলু , প্রাক্তন ইউ,পি সদস্য আব্দুল গফ্ফার তরফদারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে শালিসসহ বসত ভিটার মাপ জরিপ করা হয়। মাপ জরিপ করে রনজিৎ এর বসত ঘরের বারান্দায় খোটা মারা হয়। মাপ জরিপের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে সতীষ মুন্ডাসহ তার পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ হয়। বর্তমানে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান সতীষ মুন্ডার প্রতিবেশিরা। সতীষ মুন্ডার পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ হওয়ার পর হতে স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ী মৃত ছমির উদ্দীনের পুত্র আবুল কালাম , আরশাদ শেখের পুত্র আকবার শেখ , মৃত ফকির মোল্যার পুত্র নূরালী মোল্যা , মোমিন কাগুচীর পুত্র মহরম কাগুচী , নূরালী গাজীর পুত্র আব্দুল আজিজ সুদের টাকার জন্য তার বাড়ীতে পায়তারা করছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয় , মনোরঞ্জন মুন্ডা ও আবু নুর আলম মোল্যা বলেন , বৃহস্পতিবার বিকালে সতীষ মুন্ডা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আনিছুর আমার ভিটাবাড়ী নিয়ে নিয়েছে। আমি পরিবার নিয়ে থাকব কোথায়। পরিদিন সকাল হতে সতীষসহ তার পরিবারের কারও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউ,পি সদস্য মোঃ আলী আজগর বুলু বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমি সতীষ মুন্ডা ও আনিছুরের শালিসে গিয়ে ছিলাম। মাপ জড়িপের পরে সতীষ মুন্ডা সেটি মেনে না নেওয়ায় পরবর্তীতে আবারও মাপজরিপসহ শালিশের দিন ধার্য্য করা হয়। রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আল মামুন বলেন , বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি তাদের সন্ধান পাওয়ার জন্য। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন , এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দায়ের করিনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।