শ্যামনগর কৃষি অফিসের সার বীজ যাচ্ছে কোথায়।প্রকৃত কৃষকরা হতাশার মধ্যে। সরকার কৃষকদের ব্যাপক উৎসাহিত করতে সরকারী সার বীজ বিনা মুল্যে বিতরন করছেন। কিন্ত প্রকৃত কৃষকরা কি আসলে এই সার বীজ পাচ্ছেন?। প্রকৃত কৃষকদের তালিকা তৈরী না করে বিভিন্ন মাধ্যমে এই সার বীজ বিতরন করা হচ্ছে।যার কারনে এই সার বীজ অকৃকদের হাতে চলে যাচ্ছে।পরে এই অকৃষকরা এই সারবীজ টাকার বিনিময়ে বিক্রী করে দিচ্ছেন। শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসের উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা না থাকায় এমন হযবরল অবস্থা ।
অত্রাফিসের দ্বায়িত্বশীল ব্লক সুপার ভাইজাররা জানেন না প্রকৃত কৃষক কারা। তাদের কাছে ওয়ার্ড ভিত্তিক নেই কোন তালিকা।
তাছাড়া তাদের মাঠ পর্য্যায় নেই কোন ভুমিকা। জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সার বীজ বিতরন করা হচ্ছে বলে জানা যায়।কিন্ত তাদের কাছে কৃষকদের প্রকৃত তালিকা দেয়া হচ্ছে না।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসের দ্বায়িত্বশীল কর্মীরা কৃষকদের মাঝে যাননা,তাদের পরামর্শ ও দেন না, এমন অভিযোগ রয়েছে একাধিক কৃষকদের। এক কথায় কৃষি অফিসের বলিষ্ট ভুমিকা না থাকায় সরকারী কৃষি সামগ্রী চলে যাচ্ছে, অকৃষকদের কাছে।
এমন ভাবে চলতে শ্যামনগরে কৃষিতে বিপর্যয়ের সম্ভবনা থাকবে। বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়গুলো দেখবেন বলে জানান। এদিকে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাংবাদিক এস কে সিরাজ বলেন,কৃষি সামগ্রীগুলো পাচ্ছেন, অধিকাংশ অকৃষকরা, তাছাড়া আমার ওয়ার্ডের দ্বায়িত্বরত ব্লক সুপার ভাইজার আলী হোসেন কে কোন দিন মাঠে যেতে দেখিনি,তিনি কৃষকদের সু- পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করেছেন, এমন কোন রেকর্ড নেই।দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে কৃষি অফিসের এধরনের অভিযোগ থাকায় এলাকার কৃষকরা ফুসে উঠেছে। এধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে কৃষকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বলে প্রস্ততি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ##