শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে বুড়িগোয়ালিনী-গাবুরা(বিজি) কলেজে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে পাতানো নিয়োগের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের সর্বশেষ সরকারী নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ১৭ আগস্ট,২০২৩ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সৃষ্ট পদে (১)”আইসিটি ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট” এবং শূন্য পদে (২)অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ও (৩)আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।১৫ দিনের মধ্যে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়,সর্বশেষ আবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিলো ৩১ আগস্ট।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পূর্বে রাতারাতি নিয়োগ বাণিজ্যের চুক্তির টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেন এবং প্রতিটি পদের বিপরীতে ৩ জন করে নিজেদের কোরাম প্রার্থী আবেদন করিয়েছেন সভাপতি নিজেই।(১)ল্যাব সহকারী সৃষ্ট পদে সভাপতি অরুন বিশ্বাসের নিজের ছেলে সৌরভ বিশ্বাস জনসনকে ১৫ লক্ষ টাকায় চুক্তি,বর্তমানে শ্যামনগর রিডা হাসপাতালের একজন ডাক্তার হিসেবে কর্মরত।(২)অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী শূন্য পদে ভামিয়া গ্রামের সুকুমার আউলিয়ার পুত্র উজ্জ্বল আউলিয়াকে ১৫ লক্ষ টাকায় চুক্তি করেছে।(৩)আয়া পদে শ্যামনগর মহসীন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদ এর শালী রুবিনা খানমকে ১২ লক্ষ টাকায় সর্বমোট ৪০/৪৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে রাতারাতি নিয়োগ সম্পন্ন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে অত্র কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।ল্যাব সহকারী শূন্য পদে সভাপতি
তড়িঘড়ি করে খুব শীঘ্রই নিয়োগ বোর্ড গঠন করে শ্যামনগর মহসীন ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষার স্হান নির্ধারণ করে নিজেদের পছন্দসই ডিজি কলেজ প্রতিনিধি মনোনয়ন করিয়ে শিক্ষা অফিস ও কন্ট্রোলকৃত জনপ্রতিনিধির সহায়তায় এই পাতানো নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করতে যাচ্ছে সদ্য এমপিও হওয়া বিজি কলেজ।
পূর্বের থেকে চুক্তিকৃত ডিজি প্রতিনিধি এবং সভাপতির সহায়তায় রাতারাতি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ বোর্ডের পাতানো নিয়োগ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে।সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন
অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য শুক্রবার সকালে কয়েকবার সভাপতি অরুণ বিশ্বাস কে ফোন দিলে একবার রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই ফোন কেটে দেন।
তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর নিজের ফোন দুই দিন বন্ধ পাওয়া যায়।
সভাপতির ছেলে প্রার্থী হওয়ার কারণে নিজের দোষ ঢাকতে
নিয়োগ বোর্ড গঠনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফজলু গাজীকে নির্বাচিত করেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতির কাছে নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছু জানিনা,হটাৎ করে কলেজে মিটিং ডেকে আমাকে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি করেন।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরো বলেন কোন প্রার্থীর নিকট থেকে কত টাকা নিয়েছে তাও আমি জানিনা,
এই পাতানো নিয়োগের সাথে যারা জড়িত ও সংশ্লিষ্ট তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অত্র এলাকার সাধারণ ছাত্রছাত্রী,অভিভাবক,সুধী সমাজ,চাকুরীপ্রত্যাশী এবং সর্ব স্তরের জন সাধারণ।সরকারের প্রশাসন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দ্রুত তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সাধারণ জনগন জানান।
বিশেষ সূত্রে জানাযায় সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ একটি টিম নিয়োগ পাতানো বিষয়ে তদন্ত করেছেন।