শ্যামনগরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বরসিকের আয়োজনে ৫০ জন তরুদের নিয়ে জলবায়ু কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১) মার্চ সকাল ১০ কলবাড়ি বর্ষা রিসোর্টের হল রুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় রাজশাহী, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও ঢাকার তরুণরা অংশগ্রহণ করেন ।
১৮মার্চ থেকে ২১তারিখ পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপি এসব তরুণরা উপকূলীয় জনপদ শ্যামনগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পরিদর্শন করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ও স্থানীয় অভিযোজন বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে উপকূলের সংগ্রামী জীবনের গল্প উঠিয়ে নিয়ে আসছে।
উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন শেষে দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে আগত তরুণেরা জানালেন, সব এলাকাতেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং এ কারণে সবার জীবনে বাড়ছে সংকট।
যুবরা উপকূল অঞ্চলের জলবায়ু সংকট এবং বেঁচে থাকার সংগ্রামকে খুব কঠিন দু:সহ বাস্তবতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এর ভিতরে কর্মশালার অংশ হিসেবে যুবরা ‘সুন্দরবনকে প্লাস্টিক ও বিষমুক্ত রাখার দাবিতে’ মুন্সীগঞ্জ থেকে কলাগাছিয়া পর্যন্ত এক জলবায়ু প্রচারাভিযান আয়োজন করে, কাগজ ও কাপড়ে হাতে লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে জানান, বিশ্বঐতিহ্য কেবল দুর্যোগ থেকে দেশকে বাঁচায় না বরং বিশ্বের এই বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন পৃথিবীর এক বৃহত কার্বণ শোষণাগার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততা, জোয়ারের উচ্চতা এবং দুর্যোগ বৃব্ধির প্রভাব থেকে এই বনকে বাঁচাতে হবে পৃথিবীর টিকে থাকার স্বার্থে। দেশের সব তরুণ যুবদেরকেই সচেতনভাবে এই দায়িত্ব নিতে হবে।
২১ মার্চ বিশ্ব বন দিবস এবং আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মশালার সমাপণীপর্বে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ডা. নিরাপদ বাইন, শ্যামনগর জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির আহবায়ক কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আদিবাসী নেতা কৌশল্যা মুন্ডা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদেও প্যানেল চেয়ারম্যান জিএম আবদুর রউফ গাজী,বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, বারসিক নিউজডটকমের সম্পাদক সিলভানুস লামিন, নগরদারিদ্র্য গবেষক জাহাঙ্গীর আলম, বারসিক উপকূল সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার এবং বাবলু জোয়ারদার ও রুবিনা পারভীন প্রমূখ।
অংশগ্রহণকারী তরুণদের সনদপত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ভেতর দিয়ে কর্মশালার সফল সমাপ্তি ঘটে।