সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরের উপকূলীয় ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা মুক্তিযোদ্ধাদের চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করার প্রতিবাদে শুক্রবার ৬ অক্টোবর বিকাল ৩টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল তিনি তার বক্তব্যে বলেন,মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারের উপরে তহশীল অফিসের বিপরীতে অনির্বাণ ক্লাব সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি জায়গা আছে। উক্ত জায়গাটি মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা অফিস হিসেবে দীর্ঘ ৩৮ বছর জায়গাটি ব্যবহার করে আসছে। সেখানে একটি ঘর ছিল,ঘরটি ভেঙে যাওয়ার কারণে একটি পাকা ঘর করার পরিকল্পনা করে,একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। উক্ত জায়গাটি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা।গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান এর পরামর্শে আমি দেবী রঞ্জন মন্ডল সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা হরিনগরে মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গাটি পরিদর্শনে গেলে চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা ও তার লাঠিয়াল বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফার ফকিরকে ঠেলা গুতা মারেন। একপর্যায়ে আমাকে সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের মারতে উদ্ধৃত হয়।একজন ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন এবং ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশ স্বাধীন করেছি। আজ একটি অফিস ঘরের সুরক্ষার জন্য একজন কনিষ্ঠ চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হলাম। এত বড় সাহস ইতিপূর্বে কেউ দেখায়নি। আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ঘটনায় আমরা সাতক্ষীরা-৪ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ সময় তার সাথে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, লুৎফার ফকির,গফফার ফকির, দেলোয়ার হোসেন, দেবী রঞ্জন জোয়ারদার, হাবিবুর রহমান ও শামসুর রহমান।