সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাথা চামড়া সহ ১৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের বনবিভাগ ৷
জানাগেছে যে, উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পার্শ্বেখালী গ্রামের কাউসার গাজীর ছেলে হাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে হরিণের ১ টি মাথা, ১ টি চামড়া, ১৫ কেজি মাংস, দড়ির তৈরী ১২ টি ফাঁদ, ১টি ডিঙি নৌকা এবং গরান কাঠ উদ্ধার করেন ৷
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের টেংরাখালী টঁহল ফাঁড়ীর ইনচার্জ বিল্লাল হোসেনের তথ্যমতে কৈখালী স্টেশনের চলতি দায়িত্ব কর্মকতা পিন্টু বড়াই সঙ্গীয় সদস্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ৷
১৮ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে হাফিজুরের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয় ৷ বনবিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে হাফিজুর পালিয়ে যায় ৷ ঐ সময় তার স্ত্রী ঘরের পাশে থাকা গর্তে (ডোবা) ফেলে দেয় ৷ তল্লাশি চালিয়ে গর্তে (ডোবা) থেকে ১ টি মাথা, ১ টি চামড়া, ১৫ কেজি মাংস উদ্ধার করেন এবং বাড়িতে থাকা এ বোঝা গরান কাঠ জব্দ করেন ৷পরে বনবিভাগের অভিযান দলটি নদীর চরে বাঁধা হাফিজুরের নৌকা তল্লাশি করে ১২ টি দঁড়ির তৈরি ফাঁদ উদ্ধার করেন ৷
বনবিভাগের কৈখালী স্টেশনের চলতি দায়িত্বরত কর্মকর্তা পিন্টু বড়াই বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন, টেংরাখালির টহল ফাড়ি, মরাগাং টহল ফাড়ি, সিপিজি এবং ভি টি আর টি যৌথ অভিযানে আমরা হাফিজুর রহমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করি কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হাফিজুর৷ পরে আমরা গ্রামবাসীর এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ারুলের উপস্থিতিতে আমরা তার বাড়ি এবং আঙ্গিনা তল্লাশি করে আনুমানিক ১৫ কেজি হরিনের মাংস একটি খন্ডিত মাথা, একটি চামড়া এবং হরিণ ধরার ১২ টি ফাঁদ সহ একটি নৌকা জব্দ করি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধ আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।