গত ১০ জানুয়ারী সকাল ১১টাই শ্যামনগর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শ্যামননগর উপজেলার সোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন এর পুত্র মোঃ ইয়াছিন মোড়ল ও আঃ কুদ্দুস গাইনের পুত্র মেহদী হাসান।
মটর সাইকেল যোগে সাদা পোশাকে আসেন, শ্যামনগর থানার এ.এস.আই নেহার, গ্রেফতার মুহূর্তে মোবাইল ফোনে (ছবি) বরিশাল কোর্টের ওয়ারেন্ট পেপার দেখান, আসামি ইয়াছিন মোড়ল ও মেহদী হাসানকে হাতকড়া পরিয়ে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে যান।
পরবর্তীতে থানা গিয়ে বিস্তারিত জানায় ইয়াছিন মোড়ল ও মেহদী হাসানকে নারী শিশু ৪১৩/২০ দন্ডবিধি ১১(ক)/১ যুগ্ন দায়রা জজ আদালত(১) বরিশাল । জি আর ৬৯৭/২০ দায়রা জজ ২য় আদালত দন্ডবিধি ৪২০/৫০৬ বরিশাল । জি আর ৪৫/২০ মাদকদ্রব্য -১০/(ক) ২য় আদালত বরিশাল
এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামিরা পুলিশকে জানায় আমরা কখনো বরিশাল জেলায় যায়নি এবং এসব মামলার সাথে আমরা প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ কোন ভাবেই জড়িত না । এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জাল হতে পারে। এমন জাল ওয়ারেন্ট, ভিন্ন জেলার জাল মামলার শিকার সোয়ালিয়া গ্রামের অনেকেই। সোয়ালিয়া গ্রামের মৃত মোকছেদ গাজীর পুত্র আঃ রাজ্জাক, মৃত কালু গাজীর পুত্র মোকছেদ, মৃত আত্তাব গাজীর পুত্র তরিকুল,ও দেবিপুর গ্রামের মনিন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র সুব্রত এই জাল চক্রের বিরোধী ব্যক্তিদের নামে আসে এমন জাল মামলা ও জাল ওয়ারেন্ট।
আমরা ওয়ারেন্ট জাল বলে চ্যালেঞ্জ করলে শুরু হয় যাচাই-বাছাই এর মধ্যে কেটে গেল ৩৬ ঘন্টা পুলিশ হেফাজতে, অবশেষে জানতে পারলাম গ্রেফতারি পরোয়ানা জাল ছিলো
পর দিন ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মলয় কুমার গায়েন ঝন্টু ও সোয়ালিয়া গ্রামের আনছার উদ্দিনের হেফাজতে আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয় ।
শ্যামনগর থানার এ এস আই নেহার বলেন ওদের নামে তিন তিন ছয়টা ওয়ারেন্ট প্রত্যেকটা ওয়ারেন্ট জালিয়াতি করে কোট থেকে পাঠানো হয়েছে। পরে বরিশাল দায়রা জজ আদালত দ্বিতীয় আদালত ওখানে আমরা যোগাযোগ করেছি রেজিস্টার এর অনুযায়ী দেখা গেছে যে এই ব্যক্তিদের নামে এই মামলা গুলো ভূয়া মামলা।এখানে ওই ব্যক্তির নামে কোন মামলা নাই পরবর্তীতে ওরা ওইখান থেকে ইমেইল করে কাগজ পাঠাইছে। পরে এসপি স্যারের সাথে কথা বলে এখানে জিডি এনটি করে ওদের ছেড়ে দিয়েছি।