অবৈধ ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।সেই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে প্রশাসন।
তবে এখনো পযর্ন্ত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় কোন প্রকার অভিযান দিতে দেখা যায়নি শ্যামনগর প্রশাসনের।
অবৈধ ইটভাটা মালিকেরা ইচ্ছা মত জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কাঠ নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
এতে শ্যামনগর প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ইট ভাটার কিছু শ্রমিক এর কাছ থেকে জানা যায় উপর মহল ম্যানেজ করে চালাতে হচ্ছে ইটভাটা।
যেমন সোনার মোড় মাছের আড়ত সংলগ্নে এইচ ডি ব্রিকস বংশীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রোজা ব্রিকস ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটছেলা গ্রামে গাজী ব্রিকস সহ শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন জায়গার ইটভাটায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কাঠ।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধেরও বিধান রয়েছে।
কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় ইট ভাটার মালিকেরা জ্বালানি হিসাবে কয়লার পরিবর্তে ব্যবহার করছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কাঠ যা আইনে নিষিদ্ধ
সচেতন মহলের বক্তব্য এই ইটভাটা গুলো উপজেলার চার সাইটে প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায় তাহলে জ্বালানি হিসেবে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কাঠ যদি নিষিদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে এগুলো কিভাবে জ্বালায় এমনটা প্রশ্ন সচেতন মহলের
কিন্তু শীত মৌসুমকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় অধিকাংশ অবৈধ ইটভাটা গুলো জ্বালানি হিসেবে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও কাঠ ব্যবহারের কর্যক্রম শুরু করেছে।
এবিষয়ে গাজী ব্রিকসের মালিক ও শ্যামনগর ইট ভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বকুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি কি বলবো এ কথা বলে দায় এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন আমি এই সর্বপ্রথম আপনার কাছ থেকে শুনেছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেব।