সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে চিংড়াখালী ফজলুল উলুম রশিদিয়া জলিলীয়া কওমি মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত ৩১ মার্চ শ্যামনগর থানায় চিংড়াখালী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিস্ত্রীর ছেলে মোঃ জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে তিনি জনকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করে।বিবাদীরা হলেন,উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামের মৃত নেপাল গাজীর ছেলে মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক (৪৫) ইব্রাহিম (২২) মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিকীর ছেলে ওমর ফারুক (২২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,চিংড়াখালী ফজলুল উলুম রশিদিয়া জলিলীয়া কওমি মাদ্রাসার সভাপতি এবং ১নং বিবাদী পূর্বে উল্লেখিত মাদ্রাসার সুপার ছিলেন। তাছাড়া ৩নং বিবাদী ১নং বিবাদীর ছেলে ও ২নং বিবাদী ১নং বিবাদীর ভাইপো এবং তারাও উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক পদে কর্মরত ছিল। ১নং বিবাদী মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োজিত থাকাকালিন সে মাদ্রাসার কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে বিগত ০৬ মাস পূর্বে পলায়ন করে এবং একই তারিখে ১নং বিবাদীর ইন্ধনে ২.৩ নং বিবাদীদ্বয় রাত্রবেলা মাদ্রাসা হতে হিসাব নিকাশের সমুদয় খাতাপত্র, বিল বাই, চেয়ার টেবিল, রাইস কুকার, পেসার কুকার, গ্যাসের সিলিন্ডার এবং মাদ্রাসার সকল ক্যাশ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিচার শালিসের মাধ্যমে তার নিকটে যে টাকা পাওনা হয় সর্বশেষ ছাড়ছড় নিয়ে তার নিকটে নূন্যতম একটা বিল নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সে বিল না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহনা করে চলে। তাছাড়া তার নিকটে মাদ্রাসার একটি মোবাইল সিম নাম্বার ০১৯২৩-৪০৫৫২৪ আছে, যে নাম্বারে মাদ্রাসার নামে বিকাশে বিভিন্ন অনুদান সংস্থা বা ব্যক্তি সাহায্য সহযোগিতা পাঠালে সে মাদ্রাসায় না দিয়ে নিজে নিজে আত্মসাৎ করে। সর্বশেষ অদ্য ৩১ মার্চ বেলা অনুমান ১১ টার সময় ১নং বিবাদী শ্যামনগর থানাধীন নকিপুর কাঁচাবাজারস্থ আল মদিনা ট্রেডার্স হতে উল্লেখিত মাদ্রাসার নাম করে মাদ্রাসার রশিদ বহি দিয়ে টাকা উত্তোলন করে তাকে হাতে নাতে ধৃত করি। তখন বিবাদীকে উক্তরুপ করার কারন জিজ্ঞেস করলে সে আমার সাথে কথা কাটাকাটি করতে করতে মটরসাইকেল যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।