শ্যামনগর উপজেলার ৭৭ নাম্বার কালিঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ মন্ডল এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। স্কুলে পতাকা উঠছে দরজা খোলা রয়েছে ছাত্র-ছাত্রী কমবেশি উপস্থিতি রয়েছে শিক্ষক নেই বলছি ৭৭ নাম্বার কালিঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। ১৪ই মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার ১টায় ৫০ মিনিটে স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অফিস কক্ষে দপ্তরী কাম প্রহরী ছাড়া আর কোন শিক্ষকের দেখা মেলেনি এ বিষয়ে দপ্তরী কাম প্রহরীর রাশিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি কিছু বলতে পারব না আমিতো স্কুলে রয়েছি।এভাবে দপ্তরী কাম প্রহরীর কাছে প্রশ্ন করতে হঠাৎ করে সহকারী শিক্ষিকা চলে আসলো স্কুলে। তবে সহকারী শিক্ষিকা স্কুলের অফিস কক্ষে আসলে তার কাছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকেরা কোথায় এমন প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে নারাজ তবে প্রধান শিক্ষকের মেয়ে সহকারী শিক্ষিকা মানসী মন্ডল স্কুলে না আসার কারণ জানতে চাইলে বলেন সে অসুস্থ রয়েছে এবং প্রধান শিক্ষকের কাছে থেকে লিখিত আবেদন করে ছুটি নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল প্রধান শিক্ষক এর ক্ষমতায় টানা এক সপ্তাহ ছুটি বহাল রাখতে পারবে কি না এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক এর এটিও ইদ্রিস হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষককে তিন দিনের ছুটি দিতে পারবে তার বেশি দিতে পারবে না তারপরে ছুটি নিতে হলে মেডিকেল নিয়ে অফিসকে শরণাপন্ন হতে হবে এই বলে সহকারী শিক্ষিকার কাছে কথা বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবং প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে কয়টায় বেরিয়ে গিয়েছে এ বিষয়েও সত্যতা নিশ্চিত করেন।সবকিছু প্রমাণ পাওয়ার পরেও এটিও নেন না কোন ব্যবস্থা তাহলে শিক্ষকদের ইন্ধনদাতা কে এটিও না অন্য কেউ এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের পাশ থেকে অনেকেই বলেন এই স্কুলটা পুরো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারন চারজন শিক্ষক ছিলো একজন মামলার জটিলতায় সাসপেন্ডে রয়েছে আর তিনজন শিক্ষক রয়েছে স্কুলে এরপরও প্রধান শিক্ষকের মেয়ে একদিন আসলেও দুই দিন আসে না আরেক শিক্ষক আরেক দিন আসে না আবার কোন দিন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা একসাথে দশটার দিকে স্কুলে প্রবেশ করে এবং একসাথেই দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে স্কুল থেকে চলে যায়। তাহলে পাঠদান শুরু করবে কয়টায় আর বাচ্চাদের ছুটি দিবে কয়টায় তারা আরো বলেন আমরা বিভিন্ন সময় শুনি স্কুলের বিভিন্ন বরাদ্দ আসে স্কুলে তো কোন কাজ করতে দেখিনি স্কুলটা আপনি দেখে যান যে কত নোংরা অবস্থায় রয়েছে কয়দিন আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র সংস্করণ বাবদ ৫০,০০০ টাকা স্কুলটি পেয়েছে, সে টাকার কাজ কত দুর হয়েছে সেটাও তো কোনো দৃশ্যমান স্কুলে দেখা যাচ্ছে না। প্রধান প্রধান শিক্ষকের স্কুলের পার্শ্ববর্তী বাড়ি থাকায় সে যেটাই মনে করে সেটাই করে
তবে এ বিষয়ে ৭৭ নম্বর কালিঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে বলেন মানবিক দৃষ্টিতে একটু দেখবেন এই বলে ফোন কেটে দেন। শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন বিষয়টি আমি দেখছি