পিয়ন খোরশেদ আলমের ফাইল ছবি
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নের আওতাধীন ০৫ ও ১৫ নং পোল্ডারের এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলম কর্তৃক টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণে চরম অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহাপরিচালক পানি ভবন ও চেয়ারম্যান মহোদয় দূর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দিয়ে প্রেরণ করেন। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুজরুল ইসলাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করেন। চেয়ারম্যান সহ অনেকেই লিখিত সুপারিশ নিয়ে
গাবুরা ইউনিয়ন থেকে সাইফুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়া সহ অনেকেই তাদের লিখিত অভিযোগে বলেন আমরা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলাধীন আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়ন সর্বস্তরের জনসাধারণ বৃন্দ হইতেছি । আমাদের এলাকাটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা হিসাবে পরিচিত এবং দক্ষিণ অঞ্চলের নদী বেষ্ঠিত গাবুরা দ্বীপ ইউনিয়ন হিসাবে খ্যাত। অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, আবহাওয়া অফিস থেকে কোন দূর্যোগের সর্তকতা অবলম্বন করিলে আমরা আত্মরক্ষার জন্য মরিয়া হইয়া পড়ি।কারন আমাদের এলাকায় টেকসই বেড়ীবাঁধ না থাকায় যখন তখন অতিরিক্তি জোয়ারের পানি ও নদী ভাঙ্গনে এলাকা প্লাবিত হয় এবং আমরা অপূরণীয় ক্ষতিগ্রস্থ হই। এহেন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দুর্বিসহ চালচিত্র দৃষ্টিগোচর হইলে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করার জন্য ইতিপূর্বে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলম তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে এবং পকেট ভারী করার জন্য বাহিরের ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজসে তাদের কাজে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ না দিয়ে পিয়ন খোরশেদ আলমের পরিচালনায় যেততেন ভাবে বেড়ীবাঁধ সংস্থার করেন। যাহার ফলে প্রবল ও জোয়ার এবং নদী ভাঙ্গনে পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি প্রাকৃতিক দূর্যোগের সাথে লড়াই করে অতিকষ্টে জীবন যাপন করিতেছি। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন শ্যামনগর উপজেলার এরিয়ার এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলমের নিকট শিডিউল ও ডিজাউন অনুযায়ী কাজ দেখতে চাইলে আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় জড়িত করার ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তাদেরকে উক্ত অফিস থেকে অপসারন না করিলে দূর্নীতির প্রবনতা দিন দিন বেড়েই যাবে এবং বর্তমান সরকারের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। এস,ও সাজ্জাদুর রহমান ও পিয়ন খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন একই এলাকায় কর্মরত থাকার কারনে কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকিয়া এই কাজগুলি করে আসতেছে । ইতিপূর্বে পিয়ন আলমের বিরুদ্ধে মিডিয়াই অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে । এহেন পরিস্থিতিতে তাদেরকে অত্র এলাকা থেকে অপসারণ করিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেঘা প্রকল্পটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ভাবে বাস্তবায়িত হয় তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করিতেছি।
সুপারিশের কথা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন বিষয় হল খোরশেদ আলম একজন পিয়ন ওনার অফিসের দায়িত্ব উনি ফাইল এ টেবিল ও টেবিলে নিয়ে যাবে ও অফিসে লোকজন আসলে নাস্তা পানি নিয়ে যাবে দেখা শুনা করবে উনার এসও, এসডিও লাগে না। ঠিকাদার আসে না উনি যানে সাতক্ষীরায় কোন ঠিকাদার কাজ পাচ্ছে। এসও, এসডিও ঠিকাদারকে ওনার হাতে ধরে দেয়। বলে খোরশেদ আলমের মাধ্যম দিয়ে আগান আপনি আমাদের সবাইকে পাবেন উনি সর্বক্ষণ ঠিকাদারের স্বপক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। খোরশেদ আলম এলাকায় বহু ঘটনা ঘটিয়েছে গোলযোগ মারপিট বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে শুধু দরখাস্ত কারিরা না পরবর্তীতে আমরা বিরক্তি হয়ে তার কার্যক্রম স্থাগিত করার জন্য উপজেলা পরিষদে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের দাবি মুখে রেজুলেশন করে
অনুলুপি দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস,ও এস ডি,ও পরেও স্থির না হওয়ার কারণে উপজেলা পরিষদেও কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না এর পিছনে রহস্য কি এনিতর ভাবে উপজেলা রিজুলেশন করেছে আগামী মাসে জেলা প্রশাসকের অফিসে পৌঁছাবে।
এবিষয়ে অভিযোগ কারি সাইফুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন
অভিযোগ কারিদের সাথে কথা হলে বলেন অভিযোগে যেটা লেখা আছে এটা সত্য।
এবিষয়ে শ্যামনগর পাউবো’র এস,ও সাজ্জাদুর রহমান বলেন অভিযোগের বিষয় আমি কিছু জানিনা
এবিষয়ে পাউবো’র পিয়ন খোরশেদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তথ্য অনুসন্ধানে বিস্তারিত চলোমান রয়েছে।